রোমে এখন শুধু গীর্জার ঘন্টা আর এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ
ইতালিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সবচেয়ে গুরুতর চেহারা নিয়েছে লোম্বার্ডি অঞ্চলে। সেখানে এখন মানুষের প্রতিদিনের কাজকর্মের ওপরও নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী খেলাধূলা এবং বাড়ির বাইরে একা একা শরীরচর্চাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে ইতালি থেকে বিবিসির সীমা কোটেচার রিপোর্ট।
রোমের সবচেয়ে বড় পার্কে গিয়ে দেখা গেল, খেলার জায়গাগুলো শূন্য। কোন শিশু নেই সেখানে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য করা নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, কেউ পার্কে যেতে পারবে না।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সব স্কুলও বন্ধ।
রবার্টা ফগ একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। তিনি বলছিলেন, “আপনি এখন শুধু চার্চের ঘন্টা শুনতে পাবেন। সেটা শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু অন্য যেটা শোনা যাবে তা হলো এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। এ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই।”
লোম্বার্ডিতে মানুষ এখন আর নিজেদের বাড়ির খোলা জায়গাতেও শরীরচর্চা করতে পারবে না। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এ নিয়ম করা হয়েছে।
ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহারও নিষিদ্ধ।
অরেলিওকে প্রশ্ন করা হলো, এই করোনাভাইরাস নিয়ে তার কি মত?
অরেলিও তার বুড়ো আঙুল নামিয়ে বোঝালো, তার ভালো লাগছে না।
রোমের অভিভাবকরা শিশুদের ওপর এ সংক্রমণের মানসিক প্রভাব নিয়ে চিন্তিত।
অরেলিওর মা টিফানি পার্কস বললেন, “সে দু:স্বপ্ন দেখছে। আমি জানিনা এ দুটোর মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে কিনা, কিন্তু সে প্রায় রাতেই স্বপ্নে মাকড়সা দেখছে। তার কথা, সে ভীত নয়, তার সাহস আছে।”
ইতালিতে এর আগে কেউ কখনো এরকম সময় দেখেনি।
অনেকের বাড়িতেই খোলা জায়গা খুব কম, কিন্তু সবাই তার মধ্যেই নিজেদের মানিয়ে নিতে শিখছে।