ফের তৎপর বিএনপি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতা। তার জামিন নিয়ে পর্দার আড়ালে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। সমঝোতা হলে শিগগির জামিন পেতে পারেন খালেদা জিয়া। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন বিদেশেও।
তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও খালেদা জিয়ার মধ্যকার ছাড় দেয়ার ওপর। সে লক্ষ্যেই নানা তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
আরও জানা গেছে, ওই তৎপরতার অংশ হিসেবে গত দু’দিনে বিএনপির সাতজন (মঙ্গলবার ৩ জন, বুধবার ৪ জন) সংসদ সদস্য (এমপি) তার সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করেন। এরপর ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আলোচনা করেন বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেতুমন্ত্রী বলেছেন, জামিন পেলে চিকিৎসকরা যদি খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দেন, তখনই সরকার বিষয়টি দেখবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করা হয়েছে।
পাশাপাশি জামিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যরা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা এ আহ্বান জানান। দলটির হাইকমান্ডের নির্দেশেই এমপিরা সাক্ষাৎ করেন।
সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকেও এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। সব মিলিয়ে তার জামিন ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক কোনো মনোভাব দেখাননি খালেদা জিয়া। দলীয় সংসদ সদস্যদের তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্যারোলে মুক্তির প্রশ্নই আসে না। আদালত থেকে জামিন পেলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি চিকিৎসাধীন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, সুপ্রিমকোর্ট ও নিু আদালত মিলে খালেদার বিরুদ্ধে এখন ১৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে দুটি মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলা) জামিন পেলেই তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই।
জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার দুটি মামলায় জামিন বাকি আছে। একটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং আরেকটি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। একটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য অপেক্ষায় আছে, আরেকটা আপিল বিভাগে। ১৩ অক্টোবর কোর্ট খোলার পর আমরা আবার মুভ করব। জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামিন তো হওয়াই উচিত ছিল। তবে আমি সব সময়ই বলে আসছি, কোনো রাজনৈতিক মামলার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়নি। তিনি আজ বন্দি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। তাই আইনের প্রক্রিয়া যতই আমরা বলি না কেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাকে মুক্ত করা যাবে না।
গত দু’দিনে যে সাতজন দলীয় এমপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তাদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়ে যুগান্তরকে বলেন, সরকার হস্তক্ষেপ না করলেও উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। তাই জামিন নিয়ে সরকার যাতে হস্তক্ষেপ না করে সে ব্যাপারে পর্দার আড়ালে একরকম সমঝোতার চেষ্টা চলছে। সাক্ষাৎকালে দলীয় এমপিরা মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি চেয়ারপারসনকে অবহিত করেছেন।
ওই সময় তারা খালেদা জিয়াকে বলেন, এ মুহূর্তে দলের নেতাকর্মীরা আপনার চিকিৎসার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন। কথা প্রসঙ্গে তারা প্যারোলে মুক্তির বিষয়টিও চেয়ারপারসনের কাছে তুলে ধরেন।
জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি প্যারোলে কেন মুক্তি চাইবো। মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর যে মামলায় দণ্ড দেয়া হয়েছে তা জামিনযোগ্য। সরকার আদালতে হস্তক্ষেপ না করলে আমার জামিন পেতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। আমি জামিনেই মুক্ত হতে চাই।
আগের দিন (মঙ্গলবার) সাক্ষাৎ করা এক এমপির উদ্ধৃতি (আজ জামিন পেলে কালই বিদেশ যাবেন) দিয়ে বুধবার আরেক এমপি তার কাছে এ বিষয়টি জানতে চান। তখন খালেদা জিয়া বলেন, আমি তো এমন কোনো কথা বলিনি। আমি বলেছি- আগে আমার জামিন দেয়া হোক। জামিন পেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব- দেশে না বিদেশে চিকিৎসা করাব। জামিনের আগে কোথায় চিকিৎসা করব- সেটা নিয়ে এত আলোচনা কেন? এ সময় একজন সংসদ সদস্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কথা বলেন। তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে কেউ মুখ খোলেননি।
সূত্র জানায়, চেয়ারপারসনের এমন মনোভাব সরকারের উচ্চপর্যায়কে অবহিত করা হবে। এরপর খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকার নমনীয় হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জামিন শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ আগের মতো শক্ত বিরোধিতা নাও করতে পারে। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপিকে কিছু শর্ত দেয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। শর্ত হিসেবে জামিন পাওয়ার পরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে। কোনো কারণে শর্ত ভঙ্গ হলে তার জামিন বাতিলে সক্রিয় হবেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির হারুনুর রশীদ এমপি। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নানা রোগে আক্রান্ত। তার জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। আগে তার মুক্তি হোক। তারপর দেখা যাবে- চিকিৎসা দেশে হবে, নাকি বিদেশে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তো কিছুদিন আগে লন্ডনে তার চোখের অপারেশন করিয়েছেন, যা দেশে সম্ভব ছিল। কাজেই সামর্থ্য থাকলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কেন বিদেশে হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্যারোল নিয়ে আগে কোনো আলোচনা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও প্যারোলের কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। আর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি। প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি মিডিয়া থেকে এসেছে। এটা মিডিয়ার সৃষ্টি।
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে ওবায়দুল কাদের কী বলেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
জামিন দেয়া তো আদালতের বিষয়, তারপরও আপনারা কেন সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেন- জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার কথা আপনারা সবাই জানেন। রাজনীতিকদের নামে অনেক মামলা হয়, সাজাও হয়। আবার তা সরকারের মধ্যস্থতায় ফয়সালাও হয়। অনেক ছোট ছোট নেতা এভাবে জামিন নিয়ে বিদেশে চলেন গেছেন। খালেদা জিয়া তো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। উনি কেন জামিন পাবেন না? আপনারা খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন, পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত বহন করে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এটি সমঝোতা হতে যাবে কেন?
খালেদা জিয়ার জামিন ও বিএনপির এমপির সাক্ষাৎসহ সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়া জামিন পেলে যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তবে জামিন পেলে চিকিৎসকরা যদি খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দেন, তখনই সরকার বিষয়টি দেখবে। তাছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে তো আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।
হারুনুর রশীদ এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে অনুরোধ করেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা আমি জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আদালতের বিষয় বলেছেন। আদালতের জামিন বিষয়টা মূল। আদালতে জামিন না হলে কীভাবে দেখব? বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ নিজেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান কাদের।
খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যরা। বুধবার বিকালে ৪ জন সংসদ সদস্য বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি।
বিকাল সোয়া তিনটায় একাদশ সংসদের চার সংসদ সদস্য- বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জিএম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে ৬ তলায় যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাৎ শেষে জিএম সিরাজ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই- আপনি নিজে একবার আসুন। আপনি দেখে যান আমাদের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে। আমি নিশ্চিত, আপনি যদি নিজে এসে দেখে যান, আপনার মানবিকবোধ জাগ্রত হবে, আপনার মায়া হবে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার কাছে আমাদের সবিনয়ে অনুরোধ- আপনি আমাদের নেত্রীর জামিনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় আপনি আমাদের নেত্রীকে ছেড়ে দিন, জামিনের ব্যবস্থা করে দিন।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী রাজনৈতিক বন্দি। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বগুড়া-৬ আসনের এমপি জিএম সিরাজ বলেন, চিকিৎসার ব্যাপারে চেয়ারপারসনের বক্তব্য হল- তিনি তো বাংলাদেশেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসাই পাচ্ছেন না। বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে যাবেন। সেটা তো আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার এবং তার পরিবারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার, তিনি দেশে চিকিৎসা নেবেন, না বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। আগে তো মুক্তি দরকার।
সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ধন্যবাদ জানান জিএম সিরাজ। তিনি বলেন, উনি খুব সজ্জন ব্যক্তি। উনার কাছে সাক্ষাতের জন্য বলেছিলাম, উনি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। একসঙ্গে ৪ জনের বেশি সাক্ষাৎ করার বিধান নেই। সে জন্য দু’দফায় আমরা ৭ জন নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।
আপনারা সমঝোতার কোনো বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন কি না- জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, আমরা সমঝোতার কোনো কথা জানি না।
পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে বিলম্ব হচ্ছে, সেখানে আপনারা সাক্ষাৎ পাচ্ছেন, সরকার আপনাদের পাঠালো কি না- জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, একদমই না। প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সরাসরি প্যারোলের বিষয়ে ম্যাডামকে বলেছিলাম। ম্যাডাম আমাকে বলেছেন, জামিন আমার হক। দেশের আইন অনুযায়ী আমি এখনই জামিন লাভের যোগ্য। কোনো রকমের কোনো অপরাধ আমি করিনি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে? প্যারোলের কোনো প্রশ্নই আমাদের তরফ থেকে তোলা হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার হঠাৎ করেই তিন এমপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান। এরা হলেন : হারুনুর রশীদ, উকিল আবদুস সাত্তার ও আমিনুল ইসলাম। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা তারা অবস্থান করেন।