পাসপোর্ট নিয়ে ১০ অজানা তথ্য
জেটিভি ডেস্ক: প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি নাগরিকের জন্য পাসপোর্ট জরুরি। কেননা এই দলিল ছাড়া আপনি দেশের বাইরে এক পাও ফেলতে পারবেন না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশ না গেলেও কাউকে কাউকে পাসপোর্ট করতে হয়। যেমন ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের ‘ও লেভেল’ও ‘এ লেভেল’পরীক্ষায় বসার আগে পাসপোর্ট করতে হয়।
আমাদের প্রয়োজনীয় এই পাসপোর্টের ইতিহাস সত্যি চমকপ্রদ। এখানে পাসপোর্টে সম্পর্কে ১৩টি মজার তথ্য, যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দিতে পারে।
১. পাসপোর্টে ছবি যুক্ত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে
এক সময় পাসপোর্টে কোন ছবি লাগতো না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পাসপোর্টে ছবি লাগানোর প্রথা শুরু হয়। এর কারণ হলো এক জার্মান গুপ্তচর জাল আমেরিকান পাসপোর্ট নিয়ে ব্রিটেনে ঢুকে পড়েছিলেন।
২. ওজন বাড়লেই পাসপোর্ট নবায়ন
পাসপোর্টের ছবির জন্য রয়েছে কঠোর নিয়মকানুন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওজন বাড়লে বা কমলে নতুন করে পাসপোর্ট তৈরি করতে হয়।
৩.পাসপোর্টে পারিবারিক ছবি
আগে পাসপোর্ট তৈরির জন্য যে কোন ধরনের ছবি পাঠালেই চলতো। এমনকি চাইলে আপনি পারিবারিক ছবিও পাঠাতে পারতেন।
৪. ছয় মাসে আগেই পাসপোর্ট নবায়ন
পাসপোর্ট নবায়নের তারিখ নিয়ে কোন টালবাহানা না করাই ভাল। ইয়োরোপীয় ইউনিয়নসহ কোন কোন দেশ চায় সে দেশে ঢোকার পর আপনার পাসপোর্টে ৯০ দিন সময় থাকতে হবে। কিন্তু চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মত কিছু দেশ চায় পাসপোর্টে ছয়মাস সময় থাকতে হবে।
এটা তারা চায় যেন কোন দেশে বেড়াতে গিয়ে আপনি আটকে না পড়েন। এবং সময় থাকতে সেই দেশ ছাড়তে পারেন।
৫. কুইন্সল্যান্ড দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পাসপোর্ট লাগে না
কোন কোন দেশের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কথাটা ঠিক। কিন্তু সেটা প্রযোজ্য পাপুয়া নিউ গিনির নয়টি উপকূলীয় গ্রামের জন্য। পাপুয়া নিউ গিনি যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন এই গ্রামগুলোর সাথে অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষ চুক্তি হয় যেখানে বলা হয় এই গ্রামের বাসিন্দারা কোন পাসপোর্ট ছাড়াই কুইন্সল্যান্ড প্রদেশ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারবেন।
৬. ভ্যাটিকানে কোন ইমিগ্রেশন নেই
ভ্যাটিকান, ইতালীর রাজধানী রোমের কেন্দ্রস্থলে অবিস্থিত স্বাধীন এক রাষ্ট্র। তাই স্বাধীন ক্যাথলিক রাষ্ট্র হলেও এর কোন ইমিগ্রেশন কন্ট্রোল নেই। তবে ক্যাথলিকদের প্রধান গুরু পোপের একটি পাসপোর্ট রয়েছে, যার নম্বর ভ্যাটিকান-১।
৭.বহু আমেরিকান নাগরিকের পাসপোর্ট নেই
আমেরিকানদের মধ্যে অনেকে জীবনেও বিদেশে যাননি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট নাগরিকের সংখ্যা ৩২,১৩,৬২৭৮৯ জন। কিন্তু পাসপোর্ট রয়েছে মাত্র ১২,১৫,১২৩৪১ জনের।
৮.পাসপোর্ট বিক্রি করেছে টোঙ্গা
পলিনেশিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা ২০ হাজার ডলারে পাসপোর্ট বিক্রি করেছে। এই রাষ্ট্রের রাজা প্রয়াত চতুর্থ তৌফাহাউ টুপাউ সে দেশের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিদেশিদের কাছে পাসপোর্ট বিক্রি করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
৯. যে দেশের পাসপোর্ট জাল করা সবচেয়ে কঠিন
জালিয়াতির বিরুদ্ধে নিকারাগুয়ার পাসপোর্টে রয়েছে নানা ব্যবস্থা। এদের পাসপোর্টে হলোগ্রাম এবং জলছাপসহ ৮৯টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত পাসপোর্ট।
১০. ব্রিটেনের রানীর কোন পাসপোর্ট নেই
রানীর দ্বিতীয় এলিজাবেথকে পাসপোর্ট নিয়ে কোন দু:শ্চিন্তা করতে হয় না। কারণ যুক্তরাজ্যের জনগণকে তার নামেই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আর সে কারণেই তার নিজের কোন পাসপোর্ট নেই। তবে রানীর গোপন দলিলের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। রানীর তরফে যেসব বার্তাবাহক রয়েছেন তারা নানা ধরনের গোপন দলিল সারা বিশ্বে পৌঁছে দেন। আর এই দলিলগুলোর জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা হয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা