ডিসি সুলতানার পরিবারের দখলে থাকা ১১ বিঘা জমি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্ধার
কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের পরিবারের দখলে অবৈধভাবে থাকা ১১ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ফিরে এ জমি বুঝিয়ে দেয়া হযেছে আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ও তার স্বজনদের।
বুধবার পঞ্চগড়ের সহকারী জজ আদালতের নির্দেশে পুলিশ ও আদালতের সেরেস্তাদার ঢাকঢোল পিটিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেন আমিরুলদের।
এই জমিগুলো এতদিন সুলতানা পারভীনের দাপট দেখিয়ে তার বাবা ও স্বজনরা অবৈধভাবে নিজেদের দখলে রেখেছিলেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই জমি মূল মালিকের বেদখলে ছিল।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের জিয়াবাড়ি গ্রামের আমিরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১১ বিঘা জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু সুলতানা পারভীনের বাবা মোহাম্মদ আলী ও স্বজনরা ডিসির ক্ষমতা দেখিয়ে ওই জমি জবরদখল করে ভোগ করে আসছিলেন।
এ ঘটনায় আমিরুল ও তার স্বজনরা আদালতে মামলা করলে নিম্নআদালতে তাদের পক্ষে রায় দেন। পরে সুলতানার বাবা ও স্বজনরা হাইকোর্টে আপিল করলে আদালত তাদের আপিল খারিজ করে দেন। অবশেষে দীর্ঘ ১৪ পর আদালত ডিসির স্বজনদের অবৈধ দখলে থাকা ১১ বিঘা জমি আমিরুল ইসলাম ও তার স্বজনদের কাছে দখল বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে আমিরুল ইসলাম বলেন, ১৩ বছর ধরে মামলা চালানোর পর আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন এবং আদালতের নির্দেশে আমরা ১১ বিঘা জমি বুঝে পেলাম।
পঞ্চগড় সহকারী জজ আদালতের নাজির মো. তমিজ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে আমরা ঢাকঢোল পিটিয়ে জমির মালিকদের জমি বুঝিয়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে এনে নির্যাতনের পর দণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ঘটনায় ডিসি সুলতানার সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুলতানাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।