ফটোসাংবাদিক কাজল নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর মামলা নিল পুলিশ
অবশেষে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজের ঘটনায় মামলা নিয়ে পুলিশ। অবশ্য এর আগে কাজলের পরিবারকে হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ সাংবাদিকের ছেলে মনোরম পলক মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে লেখেন, তার বাবা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে লেখালেখি করতেন। সে কারণে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
১১ মার্চ ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি শফিকুল ইসলাম। বাবাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করতে কয়েক দিন ধরে রাজধানীর নিউমার্কেট ও চকবাজার থানায় ঘুরছেন পলক। এক থানার পুলিশ আরেক থানার ওপর দায় চাপিয়ে মামলা নথিভুক্ত করছে না বলে অভিযোগ তোলেন কাজলের পরিবারের।
বারবার চেষ্টা করেও থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে পলক শরণাপন্ন হন হাইকোর্টের। বুধবার হাইকোর্টে গেলে আদালত আবারও মামলা করতে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর চকবাজার থানা মামলা নেয়।
পলক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, “বাবাকে অপহরণ করার বিষয়ে একটি মামলা করার জন্য কয়েক দিন থেকে ঘুরছি। একবার যাচ্ছি নিউমার্কেট থানায়, আবার যাচ্ছি চকবাজার থানায়। এক থানার পুলিশ আরেক থানার ওপর দায় চাপাতে চায়, কিন্তু কেউই মামলা নিচ্ছে না।”
সহকর্মীদের দাবি, কাজল নিখোঁজ হলেও ফেইসবুকে দেওয়া তার কিছু পোস্ট কে বা কারা মুছে দিয়েছে। ওই পোস্টগুলো যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে আপলোড করা হয়েছিল। পাপিয়ার ডেরায় যাতায়াতকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে সংক্ষুব্ধ হয়ে মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও পত্রিকাটির প্রতিবেদক আল-আমিনসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। ওই মামলার দিন থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন সাংবাদিক কাজল।
শফিকুল ইসলাম কাজল ইংরেজি দৈনিক নিউএজ, বাংলা দৈনিক সমকাল ও বণিকবার্তায় কাজ করেছেন।