ট্রাফিক জ্যাম কমাবে নতুন পদ্ধতি!
বাংলাদেশে যতগুলো জাতীয় সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ট্রাফিক জ্যাম। আর ট্রাফিক জ্যাম রোধে চৌরাস্তা ক্রসিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের একজন গবেষক, বিজ্ঞানী ও লেখক মুহম্মদ হাফিজুর রহমান। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হানড্রেট পারসেন্ট ননস্টপ ট্রাফিক অন ক্রসরোড ইন দ্য হাইওয়ে’। এই বিজ্ঞানীর মতে, সরকার যদি দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের চৌরাস্তায় এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ক্রসিংগুলো নির্মাণ করে তাহলে ট্রাফিকবিহীন ননস্টপ যানবাহন চলবে। এমনকি পথচারীরাও নির্বিঘ্নে মহাসড়ক পারাপার হতে পারবে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় কম হবে, অন্যদিকে যাত্রী-চালকদের দুর্ভোগ কমবে এবং সড়ক দুর্ঘটনাও বহুলাংশে কমে যাবে। উত্তরাঞ্চলের যানজট নিরসনে বিজ্ঞানী মুহম্মদ হাফিজুর রহমানের উদ্ভাবনকৃত চৌরাস্তা ক্রসিংয়ের ডিজাইন অনুযায়ী উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে হাটিকুমরুল গোলচত্বর নির্মাণের দাবি জানিয়েছে সিরাজগঞ্জবাসী। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুহম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশে ট্রাফিক জ্যামের প্রধান কারণ হলো চৌরাস্তা ক্রসিং। ট্রাফিক লাইটিং ও ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে চৌরাস্তা ক্রসিংয়ে প্রত্যেক গাড়িকে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আর এজন্য শত শত গাড়ি চৌরাস্তা ক্রসিংয়ের চারদিকে রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। যে কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তার ডিজাইন অনুযায়ী- চৌরাস্তা ক্রসিং নির্মাণ করা হলে কোনো গাড়িকে এক সেকেন্ডের জন্যও ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থাও থাকতে হবে না। আর প্রযুক্তি মোতাবেক ডিজাইনটি বাস্তবায়ন করতে চৌরাস্তা ক্রসিংয়ের উভয় দিক মিলে ২৪০০ থেকে ৩০০০ ফুট জায়গার প্রয়োজন হবে। প্রশস্ততার জন্য ১৬০ ফুট জায়গা। স্বল্পব্যয়ে ক্রসিংগুলো নির্মাণ করা যাবে।