জাপানের ওষুধে চার দিনেই সুস্থ করোনা রোগী, দাবি চীনের
জাপানের ওষুধে চার দিনেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী ভালো হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে চীন। পরীক্ষামূলকভাবে ৩৪০জন রোগীর উপর ওষুধ প্রয়োগ করে শতভাগ সফলতা পাওয়া গেছে।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জাপান আগে থেকেই এই ওষুধ ব্যবহার করতো।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝাং শিনমিন বলেছেন, জাপানের ফুজিফ্লিম কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান টয়ামা কেমিক্যাল ওই ওষুধটির উৎপাদনকারী। তাদের এই ওষুধটি উহান ও শেনজেন শহরে করোনা সংক্রমিত ৩৪০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানেই গত বছরের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এখন এ ভাইরাস বিশ্বের ১৬৫টি দেশে ছড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মারা গেছে আট হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
চীনের কর্মকর্তা ঝাং শিনমিন বলেন, ‘এ ওষুধটি যথেষ্ট নিরাপদ এবং রোগ সারাতে নিশ্চিতভাবে এটি কার্যকর।’ শেনজেনে যেসব রোগীকে জাপানের এ ওষুধটি দেয়া হয়েছে তাদের সবাই চারদিনের মধ্যেই সেরে উঠেছেন। আর যাদের এ ওষুধ দেয়া হয়নি তারা সারতে ১১ দিন সময় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যারা এ ওষুধটি পেয়েছেন তাদের ফুসফুসের অবস্থাও ৯১ ভাগ সেরে উঠেছে। আর যাদের এ ওষুধ দেওয়া হয়নি তাদের ফুসফুসের অবস্থার ৬২ শতাংশ উন্নতি ঘটেছে।
তবে ওষুধটির এ কার্যকারিতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টয়ামা কেমিক্যাল।
হালকা ও মাঝারি মাত্রায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জাপানের চিকিৎসকেরাও এ ওষুধটি প্রয়োগ করছেন। এটি দেওয়ার পর রোগীর পরিস্থিতি আর খারাপের দিকে যাবে না, এই আশাতেই ওষুধটি প্রয়োগ হচ্ছে। তবে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যেসব রোগীর অবস্থা জটিল তাদের জন্য এ ওষুধটি কার্যকর নয়।