করোনায় স্বর্ণের দাম কমল
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব স্বর্ণের বাজারেও পড়েছে। স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমেছে।
বুধবার বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) এ সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ২২ ক্যারেটের (সবচেয়ে ভালো মানের) প্রতিভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা।
বৃহস্পতিবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দাম বাড়ানো হয়েছিল। বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
এ দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে (দুবাই) মঙ্গলবার প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ছিল ৪৬ দশমিক ২২ ডলার। এ হিসাবে স্থানীয় মুদ্রায় প্রতিভরির দাম পড়ে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে) ৪৫ হাজার ৮২৪ টাকা। ফলে দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি বাজারে ভরিতে পার্থক্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ স্বর্ণের বাজারে বিশৃংখলা চলছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা। বুধবার এর দাম ছিল ৬১ হাজার ৫২৭ টাকা। এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি ৫৯ হাজার ১৯৪ টাকা থেকে কমে ৫৮ হাজার ২৮ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা।
১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতিভরি ৫৪ হাজার ১৭৯ টাকা থেকে কমে ৫৩ হাজার ১২ টাকায় বিক্রি হবে। ফলে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। একই হারে কমে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতিভরি ৪০ হাজার ২৪০ টাকায় বিক্রি হবে।
অন্যদিকে রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিভরি রূপা ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হবে। তবে একজন ক্রেতা কোনো জুয়েলারির দোকান থেকে স্বর্ণের অলংকার কিনতে চাইলে তাকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এরপর ভরিতে প্রায় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হয়।
জানা গেছে, মানভেদে দেশে চার ধরনের স্বর্ণ বিক্রি হয়। এর মধ্যে ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে। আর পুরনো স্বর্ণালংকার গলিয়ে তৈরি করা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ। এ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ স্বর্ণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা নেই।