জিডি করলেন প্রযোজক ইকবাল, জাজের সিইও’র বক্তব্য ভিন্ন
মালেক আফসারী পরিচালিত ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি পাইরেসি হবার অভিযোগ এনে এ ছবির অন্যতম প্রযোজক এমডি ইকবাল আজ রমনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং ৫৫০। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাসওয়ার্ড’ ছবি মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যে পাইরেসি হয়ে যায়। যার ফলে ছবিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পেলেও পরের সপ্তাহে তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এদিকে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বীর’ ছবিরও সহ-প্রযোজক আমি। এ ছবিটিও পাইরেসি করার পরিকল্পনা করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার শহীদুল্লাহ মাস্টার। এ বিষয়টিও প্রযোজক সমিতিতে আমি অভিযোগ করি এবং জাজের পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেবার চেষ্টা করাতে আমি আরেকটি জিডি করেছি। সেই জিডির নাম্বার ৫৫৯।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বীর’ ছবির পাইরেসি করার চেষ্টা করার জন্য প্রযোজক সমিতিতে অভিযোগ করেন এমডি ইকবাল। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযোজক সমিতিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন পরিচালক ও প্রযোজক এজে রানা। তিনি এ বিষয়ে বলেন, সিনেমা মুক্তির সময় প্রযোজক, প্যানেল ও ডিস্ট্রিবিউশনের কাছে মূল কনটেন্টটি থাকে। ‘বীর’ ও ‘ভালোবাসা ডট কম’ নামের দুটি ছবির পাইরেসি নিয়ে অভিযোগপত্র আমরা পেয়েছি। দুটি ছবির প্রযোজকই পাইরেসির বিষয়ে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কথা বলেছেন। তবে আমরা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। কারণ মূল কনটেন্ট থেকে এই পাইরেসিটা আসলে হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা গেলে এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন প্রযোজক ইকবালের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি আমরা মাত্র ১৪টি সিনেমা হলে চালিয়েছি। বাকি হলে তো পেনড্রাইভে চালিয়েছেন তারা। তাহলে কেনো ইকবাল এ ধরনের অভিযোগ করছেন? আর ‘ভালোবাসা ডট কম’ ছবিটি ১ বছর আগে জাজ থেকে মুক্তির কথা ছিলো। ছবিটি এমনিতেই তেমন ব্যবসা করেনি। আর এই ধরনের সিনেমা কেনো পাইরেসি করতে যাবে জাজ। সুনামের সঙ্গে অনেক ছবি ডিস্ট্রিবিউশন করেছে জাজ। প্রযোজক ইকবালের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার শহীদুল্লাহ মাস্টারের করা জিডির পরই প্রযোজক ইকবাল জিডিটা করেছেন বলে মনে হয় আমার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাজ মাল্টিমিডিয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার শহীদুল্লাহ মাস্টারও প্রযোজক ইকবালের নামে অভিযোগ এনে হাতিরঝিল থানায় একটি জিডি করেন। যার নং-২১৯।