পৌনে ৭ কোটি টাকা পাচারের মামলায় হুদার স্ত্রী-মেয়ের জামিন

0

প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদা এবং তার দুই মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ। মামলার তদন্ত সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৯ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সংস্থার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।

সিগমা হুদাকে দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদাকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়।

এক মামলার এজাহারে বলা হয়, সিগমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা অবৈধভাবে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকা সমমানের দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড যুক্তরাজ্যে পাচার করেছেন। ওই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সারে কাউন্টির ডেনহাম রোডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন তারা।

অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, সিগমা হুদা ও অন্তরা সেলিমা হুদা চার কোটি ছয় লাখ টাকা সমমানের তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড যুক্তরাজ্যে পাচার করেছেন। ওই টাকা দিয়ে লন্ডনের বারউড প্লেসে ফ্ল্যাট কিনেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাঠানো আড়াই লাখ পাউন্ড দিয়ে লন্ডনের ৪ হেনলি কোর্ট, দেনহাম রোডে নাজমুল হুদা দম্পতি তাদের মেয়ে শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট কেনেন।

এছাড়া আরেক মেয়ে অন্তরা সেলিম হুদার নামে লন্ডনের ওয়াটার গার্ডেনে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডে একটি ফ্ল্যাট কেনেন।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই ছয় লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড সিগমা হুদা অবৈধভাবে পাচার করেছেন। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়েরকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণীতে ফ্ল্যাট ক্রয়ের তথ্য গোপন করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com