খালেদার মুক্তিতে সরকারের কাছে পরিবারের আবেদন, জানে না বিএনপি
বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর তাঁর পরিবারের আবেদনের বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে সঠিক জানেন না। আবেদন করা হলেও হতে পারে।
অবশ্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার শেরেবাংলা নগরে মির্জা ফখরুল গাজীপুর জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে এসে এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে আবদেন করা হয়েছে, তাতে কী আছে, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা ঠিক বলতে পারব না, পরিবারের পক্ষ থেকে করা হলেও হতে পারে। আবেদনে সঠিকভাবে কী আছে, জানা নেই।’
প্রথম আলোকে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে মানবিক কারণে তাঁর মুক্তি চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবার বলছে, তাঁরা খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চান।
সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলের আশ্বাস দেওয়া হলে বিএনপি বিবেচনা করবে কি না, জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ব্যাপার ও পরিবারের ব্যাপার। যে আবেদনটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবার করেছে, দল সরকারের প্রতি আবেদন বিবেচনার আহ্বান জানাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা তাঁর পরিবার জানিয়েছেন।’
দলের অবস্থানের বিষয়ে বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিইনি এখনো।’
অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঠিকাদার ও কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের এক মাস আগে জামিনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল জানান, এই রাষ্ট্র বর্তমানে অকার্যকর রাষ্ট্র হয়ে গেছে, এটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে এখন কোনো শৃঙ্খলা-জবাবদিহির জায়গায় নেই। এ কারণে আজ একজন কুখ্যাত আসামি, যাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং যাঁর কাছে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গেছে, বেআইনিভাবে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে অথচ রাষ্ট্র জানে না। এতে প্রমাণিত হয়েছে, এই রাষ্ট্র একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত হয়েছে। তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে, যেখানে একজন সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্ত আসামিকে এভাবে জামিন দেওয়া হয়।
শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ফজলুল হক মিলন ও সদস্যসচিব কাজী সাইয়েদুল আলম প্রমুখ।