টমাসের নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শুরুতেই জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওশেন টমাসের আগুনে বোলিংয়ে পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে দ্বীপরাষ্ট্রকে ২৫ রানে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে খাদের কিনারে ঠেলে দেন ওশেন টমাস। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে কক্ষপথে ফিরিয়েছিলেন কুসল পেরেরা। বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৬ রান তাড়ায় ৫ বল বাকি থাকতে ১৭১ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।শ্রীলঙ্কা সফরে দলের প্রথম জয়ের ম্যাচে দুটি মাইলফলক ধরা দিয়েছে কাইরন পোলার্ডের হাতে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ছুঁয়েছেন ১০ হাজার রান।
পাল্লকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে শুরুটা ভালো করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লাকশান সান্দক্যানের গুগলিতে ব্রেন্ডন কিং ক্যাচ দিলে ভাঙে ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। কিং ২৫ বলে ফিরেন ৩৩ রান করে।
বেশিক্ষণ টিকেননি নিকোলাস পুরান। এক প্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার লেন্ডল সিমন্সের সঙ্গে আন্দ্রে রাসেল ও পোলার্ডের দুটি বিস্ফোরক জুটিতে দুইশ রানের কাছে যায় ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ।
সিমন্সের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটিতে রাসেলের অবদান ৩৫। চারে নামা এই অলরাউন্ডারের ১৪ বলের ইনিংসে চার ছক্কার পাশে চার দুটি। সিমন্সের সঙ্গে পোলার্ড গড়েন ৪৫ রানের জুটি। এতে অধিনায়কের অবদান ১৫ বলে তিন চার ও দু্ ছক্কায় ৩৪।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন সিমন্স। তার ৫১ বলের ইনিংসে সাতটি চারের পাশে ছক্কা দুটি।
বড় রান তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে তিন উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে দেন টমাস। নিজের দুই ওভারে ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পান পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
টমাসের আগুনে স্পেল শেষ হওয়ার পর পাল্টা আক্রমণে দ্রুত এগোয় শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজে ভোগানো ভানিদু হাসারাঙ্গা আবার দাঁড়িয়ে যান। আরেক প্রান্তে ওপেনার কুসল পেরেরা ছিলেন খুনে মেজাজে।
৫৭ বল স্থায়ী ৮৭ রানের জুটি বাঁচিয়ে রাখে শ্রীলঙ্কার আশা। ৩৪ বলে ৪৪ রান করা হাসারাঙ্গাকে এলবিডব্লিউ করে বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন রভম্যান পাওয়েল। ঝড় তোলার আগেই থিসারাকে বিদায় করেন এই মিডিয়াম পেসার।
পাওয়েলের দুই উইকেটের মাঝে বোল্ড করে কুসল পেরেরাকে থামান রাসেল। লঙ্কান কিপার-ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬৬। এরপর বেশিদূর এগোয়নি শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
২৮ রানে ৫ উইকেট নেন টমাস। তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সেরা ছিল ২/২১। পাওয়েল ৩১ রানে দুই উইকেট।
আগামী শুক্রবার ক্যান্ডিতে হবে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।