শান্তিচুক্তির পরও আফগানিস্তানে মার্কিন বিমান হামলা
তালেবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির পরও আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার দেশটির হেলমান্দ প্রদেশের দক্ষিণে এই হামলা চালানো হয়।
শনিবার দোহায় তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি হয়। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে ১৮ বছরের মার্কিন আগ্রাসনের ইতি ঘটে। সেই সঙ্গে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়।
আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, চুক্তির পর এটিই প্রথম হামলা। তবে হামলায় হতাহতের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
কর্নেল সনি লেগেটের দাবি করে, তালেবান যোদ্ধারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপয়েন্টে সক্রিয় হামলা চালাচ্ছিল। আফগান বাহিনীকে রক্ষায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, চুক্তি অনুসারে ওয়াশিংটন শান্তির পক্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছে। কিন্তু এর জন্য আগে অপ্রয়োজনীয় হামলা বন্ধ করতে হবে তালেবানদের।
এদিকে তালেবানের শীর্ষ আলোচক ও দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই তালেবান নেতার সঙ্গে ‘খুব ভালো কথা’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
আলজাজিরা জানায়, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তালেবান নেতা মোল্লা বারাদারের মধ্যে ৩৫ মিনিট ফোনালাপ হয়। পরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আজ তালেবান নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে ভালো আলাপ হয়েছে। কোনো ধরনের সহিসংতা নয়- এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা সহিংসতা চাই না। আমরা দেখব কী ঘটতে যাচ্ছে… মূলত তালেবান নেতার সঙ্গে আমরাদের ভালো কথা হয়েছে।’
আফগানিস্তানে ১৮ বছরের মার্কিন আগ্রাসনের ইতি টানতে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির পর এই টেলিফোন আলাপ হলো।