শেয়ারবাজারে আবার বড় দরপতন
টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর দুদিন কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থেকে বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে মূল্য সূচকের বড় পতন হলেও এদিন শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থানের আভাস মেলে। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার পর নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক। লেনদেন অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াহ্ ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের এই পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮০টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৩টির। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬০৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসকে ট্রিমস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ভিএফএস থ্রেড ডাইং, সায়হাম টেক্সটাইল, লাফার্জহোলসিম, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন, ফার কেমিক্যাল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।
অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৪৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।