জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যদি সংবিধান রচনা করা না হয় তাহলে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হয় না

0

জনগণের বেতনভুক্ত প্রতিনিধি এবং বেতনভুক্ত কর্মচারী যেসব আইন-কানুনের দ্বারা জনগণকে প্রজা আর নিজেদের রাজা বানিয়ে ফেলে সেসব আইন-কানুন বদলিয়ে জনগণের পক্ষের আইন-কানুন প্রণয়ন করার কর্মসূচী তৈরীতে সহায়তা করা,। এটা মানুষের সামনে স্পষ্ট করতে হবে যে, ব্যক্তির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, তথা জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যদি সংবিধান রচনা করা না হয় তাহলে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হয় না,। প্রেসিডেন্টে ক্ষমতা বাড়ানাে বা সংসদকে কার্যকর করা – এইসব দিয়ে অগণতান্ত্রিক স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হয় না,। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র বলতে এমন একটি ব্যবস্থাকে বােঝায় যেখানে রাষ্ট্র পরিচালনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়ন পদ্ধতির তদারকির ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে এবং একই সাথে এসব ক্ষেত্রে কোনাে বিচ্যুতি দেখা দিলে দায়ীদের বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষমতাও জনগণেরই কর্তৃত্বে থাকে,। সুতরাং রাষ্ট্রে ক্ষমতাচর্চার ভিত্তি অগণতান্ত্রিক হলে সংসদ এককক্ষ বা দ্বিকক্ষ হােক, ফেডারেল হােক আর এককেন্দ্রিক হােক, প্রেসিডেন্ট শাসিত হােক আর প্রধানমন্ত্রী শাসিত হােক, তা এর চরিত্রের কোনাে পরিবর্তন আনতে পারে না,।

অতএব অবৈধ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে একটি সঠিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গড়ে তুলতে হবে, এবং তাদের ভোটাধিকার আদায় করা সহ সকল সঙ্কট দূরীকরণের বিষয়ে অবগত করতে হবে,। যেহেতু সঙ্কট জনগণের, তাই জনগণ সম্মিলিতভাবে সঙ্কটের সমাধান চাইলে কাজটা তেমন কঠিন কিছু নয়,। সম্মিলিতভাবে জড়ো হওয়া ঐক্যবদ্ধ জনগণই হচ্ছে ইতিহাসের নির্মাতা,। -ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com