রাশিয়ার সংবিধানে যুক্ত হচ্ছে স্রষ্টায় বিশ্বাস, নিষিদ্ধ সমলিঙ্গের বিয়ে
রাশিয়ার সংবিধানে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব জমা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্রষ্টায় বিশ্বাসের বিষয়টি নতুনভাবে সংবিধানে যোগ করা হবে এবং সমলিঙ্গে বিয়ের অধিকার রাখা হবে না। সংবিধান সংশোধনের খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, স্রষ্টায় বিশ্বাস রয়েছে রাশিয়ার। বিয়ে কেবল একজন পুরুষের সাথে একজন নারীর হবে। প্রস্তাবে বিয়েকে নারী ও পুরুষের ঐক্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এ দিকে গির্জার সাথে রুশ প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের বিষয়টি সবারই জানা। গির্জার যাজকদের পরামর্শে রাশিয়ার সংবিধানে স্রষ্টায় বিশ্বাসের বিষয়টি নিয়ে এর আগেও সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই সমালোচনা করে বলছেন, সংবিধানে এ ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসার ফলে রাশিয়া নিজের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে আসবে।
পুতিন তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষের আগেই সংবিধানে আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সংবিধানে পরিবর্তনের প্রস্তাবটি আনলেন। অবশ্য পুতিন নিজের সমর্থন ও ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন বলে মনে করছেন সমালোচকরা। সামনের সপ্তাহে সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত করার সিদ্ধান্ত পাস হবে।
রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, কেউ টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেন না। ১৯৯৯ সাল থেকে পুতিন চারবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দুইবার। ২০১২ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরেই আইনপ্রণেতাদের দিয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করিয়ে নেন পুতিন।
বর্তমানে পুতিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য পুতিন ক্ষমতা ছাড়বেন, নাকি সংবিধানই পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়ার মধ্যেই তিনি সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাবটি নিয়ে এলেন।