নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় চার শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অবরোধের দ্বিতীয় দিনে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার করেছে বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
এতে আন্দোলনকারী আতিক, অভি, শাওনসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়।
শনিবার রাতে পিকাপভ্যনে চরে পিকনিক থেকে যাওয়ার পথে লরির ধাক্কা ও ট্রাকের চাপায় ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার চার শিক্ষার্থী নিহত হয়।
এরই প্রতিবাদে দুর্গাপুর উপজেলার ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’র উদ্যোগে বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা।
রবিবার দিনব্যাপী সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সোমবারও সকাল থেকে অবরোধে নামলে বালু মহালের ইজারাদার আলাল সর্দার ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক কমিশনারের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে বালু শ্রমিকরা।
এ সময় স্থানীয় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা। তারা জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলা এবং বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে।
তাদের অভিযোগ, দুই ব্যক্তি হামলার ঘটনা ভিডিও করলে হামলাকারীরা তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে চায় না। তারা চায় নিরাপদ সড়ক। সড়কে বৈধ লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল, প্রতিটি বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুইপাশে গতিরোধক স্থাপন, যানবাহনের গতিসীমা ১০ থেকে ১৫ কিলিামিটার করাসহ মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
হামলার বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। বালু মহালের ইজারাদার আলাল সর্দারও ফোনের লাইন কেটে দেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন আমরা এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছি। বৈঠকের সিদ্ধান্ত পর জানান হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই সড়কে বালুবাহী ট্রাক ও লরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।