শান্তিচুক্তি: তালেবানের সাথে বন্দী বিনিময় প্রত্যাখ্যান প্রেসিডেন্ট ঘানির
আফগানিস্তানের যুদ্ধ অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে যে ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই বাধার মুখে পড়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির এক ঘোষণায়। তিনি বলেছেন যে তার সরকার ওই চুক্তির একটি ধারা মানবে না।
ওই চুক্তিতে রয়েছে যে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে সরাসরি আলোচনার শর্ত হিসেবে আফগান সরকার তাদের হাতে থাকা ৫ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দেবে। কিন্তু ঘানি সরকার এতে আপত্তি উত্থাপন করেছেন।
কাতারের রাজধানী দোহায় চুক্তিটি সই হওয়ার এক দিন পর রোববার কাবুলে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন যে আফগানিস্তানের সরকার ৫ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দিতে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
প্রায় ১৮ মাস আলোচনা ও ২০ বছর যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের চুক্তিতে সই করে। এতে আরো বলা হয়েছে যে আফগান ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসীদের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না তালেবান।
বিপুল আশাবাদ রয়েছে যে চুক্তির পর আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সব পক্ষকে নিয়ে আন্তঃআফগান আলোচনা শুরু হবে এবং দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সৃষ্টি হবে।
আফগান সরকারকে পুতুল সরকার হিসেবে অভিহিত করে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে আসছিল তালেবান।
চার পৃষ্ঠার চুক্তিতে ১০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছিল আন্তঃআফগান সংলাপের জন্য। এর আগেই আফগান সরকার ৫ হাজার তালেবান বন্দী ও তালেবান এক হাজার বন্দীকে মুক্তি দেবে বলেও চূড়ান্ত হয়।
তবে ঘানি বলেন, মার্কিন সরকারের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। তারা কেবল মধ্যস্ততাকারী।
এদিকে বন্দী বিনিময় চুক্তিটি শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে দেখা দিলেও ঘানি বলেছেন, তালেবানের সাথে সাত দিনের জন্য সহিংসতা হ্রাসের চুক্তিটি অব্যাহত থাকবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত।