দিল্লির হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডব: বিজেপিকেই দুষছেন কলকাতার অভিনয় শিল্পীরা

0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিল্লি সফরের দিন থেকেই রক্তাক্ত রাজধানী। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হিংসা, রক্তপাত বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন বহু বিশিষ্ট মানুষ। অনেকেই পুরো ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার অভিনয় শিল্পীরাও। দিল্লিতে যে বিদ্বেষের আগুন জ্বলছে, তার জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেছেন অভিনেতা কৌশিক সেন। হিংসা ও রক্তপাত বন্ধ করে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

দিল্লিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) যেখানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৭, বৃহস্পতিবার বিকালে তা ৩৮-এ পৌঁছায়। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২। এরমধ্যে ২১ জনই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে প্রাণহানির এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেননা, আহতদের মধ্যে অনেকেই এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়। দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে।

কৌশিক সেনের অভিযোগ ‘দিল্লি বলে নয়, বিজেপি যখনই কোনও বড় অসুবিধায় পড়ে তখনই তারা যেকোনও সীমা পার করতে পারে। এদের জন্য হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করা একটা বড় অস্ত্র। এরা ফাঁদ পাতবেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই ফাঁদে একটা অংশ পা দিয়ে ফেলছেন। পরিকল্পিত ভাবে ট্রাম্পের দিল্লি আসার দিনই হিংসা ছড়ানো হয়েছে। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, তাও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

দিল্লির পর কলকাতা সহ দেশের অন্যান্য জায়গাতেও ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৌশিক সেন। যদিও তার মতে, সিএএ বা এনআরসি-র বিরোধিতায় যেভাবে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা বিজেপি ভাবতেও পারেনি। । আর সেটাই তার কাছে সবচেয়ে বড় আশার কথা।

অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় নিউজ ১৮ বাংলাকে জানিয়েছেন, ‘যা হয়েছে বা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। অশান্ত কোনও দলকে দিয়ে অশান্তি করানো সোজা। তার চেয়ে আজকের দিনে দায়িত্ব নিয়ে শান্তি বজায় রাখা কঠিন। যে কোনও পার্টির তাই করা উচিত।’ টলি অভিনেতার মতে, মৃত্যুর কোনও রং হয় না। কে কোন বর্ণ বা ধর্মের তা দেখা উচিত নয়। আর পরিস্থিতি সামলানোর জন্য রাজনীতির গুরুত্ব অনেক। নেতা, মন্ত্রীদের দায়িত্বও অনেক। সেটা ভুলে গেলে চলবে না৷ শাশ্বতর কথায়, ‘কাউকে তো ছেলেখেলা করার জন্য গদিতে বসানো হয় না। কিন্তু দেখুন, বাজে রাজনীতিকদের জন্য সবার নাম খারাপ হয়। সবার মধ্যে একটা সুস্থ মানসিকতা থাকা দরকার। এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যারা এই ঝামেলা বাঁধাচ্ছে, সেই বাড়িরও যেমন দায়িত্ব আছে তেমনি রাজনীতিকদেরও দ্বায়িত্ব আছে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com