বাম মোর্চার যমুনা অভিমুখী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ও পানগাঁও নৌ টার্মিনালের ইজারা চুক্তি বাতিলসহ নিউমুরিং ও পতেঙ্গা টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে বামপন্থি দল ও জোটগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগোতেই কাকরাইল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকরীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেখানেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে কয়েকজন আহত হন। লাঠিচার্জের প্রতিবাদে কাকরাইল মোড়ে সড়কেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচলে সাময়িক স্থবিরতা দেখা দেয়।
এর আগে, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের নেতাকর্মীরা আগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশে যোগ দেন। সেখানে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন— চট্টগ্রাম বন্দর ইতিবাচক আয়ের মুখ দেখলেও কেন সেটিকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, লালদিয়ায় টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএম টার্মিনালের সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি এবং পানগাঁওয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত নৌ টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা সুইস কোম্পানিকে ২২ বছরের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী। এ দুটি চুক্তি বাতিলের দাবি জানান তারা।
তাদের দাবি, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, পতেঙ্গা বে-১ ও বে-২ টার্মিনাল এবং মংলা বন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনাগুলো বিদেশি বহুজাতিক বা সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার পদক্ষেপও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।