ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শাবনূর
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ্র সঙ্গে শাবনূরের ঘনিষ্ঠতার কথা বলা হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানান ঢালিউডের এক সময়ের নাম্বার ওয়ান চিত্রনায়িকা শাবনূর। তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। প্রতিবেদনে তার নাম উঠে আসাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ চিত্রনায়িকা। সেখান থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, এই ইস্যুতে তো আমি তেমন কেউ না। লড়াই চলছিল সালমান শাহ্র মা আর সামিরার মধ্যে। এখানে আমাকে টানার তো কথা নয়। প্রতিবেদন নিয়ে আমি কিছুই জানতাম না।
মিডিয়ার বরাতেই এসব এখন জানছি। সামিরা (সালমানের তৎকালীন স্ত্রী) একবার বলেছে, আমার ভুলের জন্য আমাকে সরি বলতে। আবার এক গণমাধ্যমে পড়লাম সে বলেছে, আমাকে সালমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে কথা বলতে দেখে তার খারাপ লাগত। তার বাসায় গিয়ে সালমানকে ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকতাম, বেশি মিশতাম সেটি তার ভালো লাগত না। এসব কথার মাধ্যমে সে কী বোঝাতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। তবে আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, সালমান আমার কো-আর্টিস্ট ছিল, ভাইবোনের মতো সম্পর্ক ছিল আমাদের। সামিরাও সেটি জানত। শুধু সামিরা নয়, সালমানের মা নীলা আন্টিও তো সেটি জানতেন। আন্টিকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। তবে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আমাকে ঘিরে নানান কথা বলেছেন তিনি। এ ধরনের কথা বলার কোনো অধিকার নেই উনার। তিনি আমার পরিবার সম্পর্কে না জেনে এভাবে কথা বলতে পারেন না। তার এই কথা প্রত্যাহার করতে হবে। আন্টিকে অনুরোধ করবো কারও সম্পর্কে কোনো কথা বলার আগে দয়া করে খোঁজখবর নিবেন। আমার পরিবারের সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ভীষণ সম্মানিত। সিনেমায় অভিনয় করতে আসা আমি শাবনূর কখনোই পারিবারিক পরিচয়টাকে সামনে আনিনি। একসময়ের হার্টথ্রব চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৩ বছর পর পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের পর চিত্রনায়িকা শাবনূর, সালমানের তৎকালীন স্ত্রী সামিরা হক ও তার মা নীলা চৌধুরী গণমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন। তেমনি একটি বক্তব্য দিতে গিয়ে শাবনূরকে ‘তৃতীয় শ্রেণির মেয়ে’ বলেন সালমান শাহ্’র মা নীলা চৌধুরী। এ ধরনের কথা নীলা চৌধুরী কোনোভাবেই বলতে পারেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাবনূর। এ রকম কথা বলতে থাকলে প্রয়োজনে দেশে এসে মানহানির মামলা করতেও পিছপা হবেন না বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক সালমান শাহ্’র মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।