‘সরকার বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে’

0

‘সরকার অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে’ -বলেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার দলের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন।

ওই বিবৃতি বলা হয়, ‘ব্যবসায়ী, সাধারণ ভোক্তা ও রাজনীতিবিদদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ দশমিক ৩ ভাগ। বিদ্যুতের গণশুনানির সময় সব শ্রেণীর গ্রাহকের বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল তেলভিত্তিক উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সংস্কার করলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এমনিতেই নানা কারণে ব্যবসা- ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। উৎপাদন সেক্টরগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় চলছে। এর ওপর বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। বিদ্যুতের অপচয়, চুরি, দুর্নীতি বন্ধ করা হলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কোন প্রয়োজন হতোনা। বরং বিদ্যুতের মূল্য কমানো যেতো।’

গ্রাহকের কথা বিবেচনা না করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কয়েকটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রচুর টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। উচ্চ মূল্যের তেলভিত্তিক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ না করে বছরের পর বছর চালু রেখে এর দায় জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব ব্যয়-বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে ঘন ঘন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এটা অব্যাহত থাকলে সামনে তেলভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমে যাবে। এমনি পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে বিইআরসি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ঘোষণার কোন যুক্তি থাকতে পারেনা। সরকারের মন্ত্রী-এমপিগণ দেশের উন্নয়নের কথা বলছেন। অথচ: উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে অর্থনীতিতে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছেন তার বোঝা চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনগণের উপর।’

বিবৃতিতে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com