উন্নয়নের ধারা শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়ছে: সিপিডি
উন্নয়নের ধারা শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শিল্প ও সেবাখাতের কর্মসংস্থান কেন্দ্রীভূত ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ফলে অন্য অঞ্চলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সীমিত রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ইকোনমিক রিফর্ম সামিট ২০২৫–এর ‘দারিদ্র্য বিমোচন, বৈষম্য হ্রাস এবং খাদ্যনিরাপত্তা’ শীর্ষক সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্য বৃদ্ধির পেছনে কাঠামোগত কারণ রয়েছে উল্লেখ করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশের রাজস্বব্যবস্থা এখনো পশ্চাৎমুখী বা রিগ্রেসিভ। এছাড়া উন্নয়নের ধারা শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়ছে। আমাদের শিক্ষা এখনো সার্টিফিকেটনির্ভর, যা শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত কয়েক দশকে উন্নয়নের যে ন্যারেটিভ দাঁড়িয়েছে তাতে প্রবৃদ্ধির তথ্য আমরা দেখেছি। দারিদ্র বিমোচনের ক্ষেত্রে উন্নয়নের তথ্য দেখেছি। এতে বৈষম্য কমে আসার কথা। কিন্তু উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য বেড়েছে। বৈষম্য কমাতে না পারলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০২২ অনুযায়ী, সমাজের শীর্ষ ৫ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে দেশের মোট সম্পদের ৩০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, আর নিচের ৫ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ ব্যবধান গত কয়েক দশকে আরও বেড়েছে, যা আমাদের উন্নয়ন অর্জনের বিপরীতে একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান এখনো অনানুষ্ঠানিক খাতে। যেখানে আয় কম, চাকরির নিশ্চয়তা নেই এবং সম্মানজনক জীবনযাত্রার সুযোগ সীমিত। এসব বৈষম্য বাড়িয়ে তুলছে।