দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষুব্ধ বলিউড তারকারা
দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলা ও সহিংসতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলিউড তারকা ও নির্মাতারা।
টুইটারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাভেদ আখতার, অনুরাগ কাশ্যপ, সোনম কাপুর, বিশাল দালদানি, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা, রাভিনা টেন্ডনসহ অনেকে।
নির্মাতা কাশ্যপ বলেন, ‘একটা ঘর বানাতে কত সময় লাগে! একেক জনের সারা জীবন কেটে যায় একটি ঘর বা পরিবার তৈরিতে। সেখানে পোড়াতে লাগে কয়েক মুহূর্ত! এক রাতে গোটা অঞ্চল পুড়ে ছাই।’
জাভেদ আখতার বলেন, ‘দিল্লিতে সহিংসতা বেড়ে চলেছে। সব কপিল মিশ্রদের (উসকানিদাতা বিজেপি নেতা) ছেড়ে দেয়া হয়েছে রাস্তায়। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিল্লির বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে যে, সবকিছুর জন্য দায়ী সিএএ বিরোধীরা।‘
অভিনেত্রী কৃত্তিকা কামরা বলেন, ‘অনুগ্রহ করে হামলাকারীদের সিএএ সমর্থনকারী বলবেন না। তার মুসলিম বিরোধী। তারা মুসলিমদের ঘৃণা করে, যাদেরও এই দেশে সমান অধিকার আছে।’
সংগীত পরিচালক বিশাল দাদলানি বলেন, ‘সিএএ বিরোধীরা গত দুই মাস ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। শান্তিপূর্ণ সেসব বিক্ষোভে তখনই সহিংসতা হয়েছে, যখন তথাকথিত সিএএ সমর্থনকারীদের দেখা গেছে।’
রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, ‘তাদের প্রতি আমরা করুণা করতে পারি। তাদের জীবন কোনো আরামদায়ক নয়। সার্বক্ষণিক চাপের মধ্যে থাকে। মূল্যহীন কর্মকাণ্ডে তারা আটকে আছে। কিছু খারাপ আপেলের কারণে পুরো কার্টের আপেলই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
মোস্তাফাবাদে উগ্রবাদীদের দেয়া আগুনে আটকে পড়া নারী ও শিশুদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন সোনম কাপুর। তাদের জন্য গভীর প্রার্থনা করে তিনি টুইটারে পোস্ট দেন।
কয়েক দশকের মধ্যে দিল্লির নজিরবিহীন এই সাম্প্রদায়িক হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত দুই শতাধিক। আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন গুলিবিদ্ধ।
দিল্লির সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বুধবার রাতে নতুন করে নিহতের খবর না এলেও উত্তর-পূর্ব দিল্লি থমথমে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ‘হিন্দুয়োঁ কা হিন্দুস্তান’, ‘জয় শ্রীরাম’- এসব স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি বাংলা জানায়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে দেখা যায়। কোথাও আবার নিজ হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে পুলিশ।