ছাত্রলীগ নেতা চাঁদা না পেয়ে কোচিং সেন্টার ভাঙচুর,
চাঁদার জন্য কোচিং সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈমসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহানগরীর সিঅ্যান্ডবির মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোচিং সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনি এক নম্বর আসামি। মামলার অপর আসামি আসাদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার মো. আল-আমিন জানান, রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বোয়ালিয়া থানায় নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউনিকেয়ার কোচিংয়ের পরিচালক রায়হান হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম ও তার অনুসারী আসাদ ও মারুফসহ আরও বেশ কয়েকজন মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এর আগেও তারা বিভিন্নভাবে এ কোচিংয়ের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তারা ফের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও তারা জোর করে ৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। দাবির পুরো টাকা না দেওয়ায় পরদিন রোববার রাত ৮টার দিকে নাঈম ও তার অনুসারীরা ওই কোচিং সেন্টারে যান এবং চাঁদার জন্য ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ মামলায় বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার আগে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।