দেড় বছরের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে জুলাই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তামান্না

0

তামান্না ইসলাম। রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে আড়াই বছরের ছোট্ট মেয়ে তানিজাকে নিয়ে এসেছেন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’অনুষ্ঠানে। ২০২৪ সালের এইদিনে তার মেয়ের বয়স ছিল মাত্র দেড় বছর। সেইদিনে ছোট্ট মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনে যোগ দেন তামান্না।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তামান্না ইসলাম বলেন, একটা বছর মেয়েসহ বুকভরে শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এখন আর কোনো ভয় কিংবা শঙ্কা নেই আমাদের।

তিনি বলেন, সর্বোপরি চাই দেশটা ফ্যাসিবাদ মুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত থাকুক। বাংলাদেশের মানুষ আমরা খেয়ে পড়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।

২০২৪ এর কোনো স্মৃতি মনে পড়ে কি না জানতে চাইলে তামান্না বলেন, যখন টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট ছিল, আবু সাঈদ ভাই শহীদ হয়েছিলেন তখন মনে করছিলাম আল্লাহ বাংলাদেশে কী অবস্থা হবে। আরও কারা কারা শহীদ হচ্ছিলেন তখন আমরা জানতে পারছিলাম না। ওই পাঁচটি দিন আমাদের সবার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সে সময় যতটুকু পেরেছি বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় এসেছি আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। ২৪ এর আন্দোলন আজকে আমাদের পূরণ হয়েছে। আমরা এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছি স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারছি। স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।

স্বাধীন বাংলাদেশের তরুণদের উদ্দেশ্যে কোনো মেসেজ আছে কি না আপনার। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেন খারাপ রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারি। সুস্থ সংস্কৃতি এবং সুষ্ঠুভাবে যেন সবাই বাঁচতে পারি। তরুণদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই কিছু হলেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস বা এর বিরুদ্ধে লাগতে হবে, ওর বিরুদ্ধে লাগতে হবে। এটা বন্ধ করতে হবে।

তামান্না বলেন, অবশ্যই ফ্যাসিজম এখনও আছে, সচিবালয়ে আছে, আমলাদের মধ্যে আছে। এই ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে কণ্ঠ সজাগ রাখতে হবে সবার।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের দেড় বছরের এই ছোট মেয়েটিকে নিয়ে আমি রাস্তায় বের হয়ে আন্দোলনে যোগ দিই। আমরা সব সময় চেয়েছি সত্য এবং সুন্দরের যেন বিজয় হয়। কারণ, আমার নিজের বাবা দীর্ঘ ১৭টা বছর বাসায় ঘুমাতে পারেননি। যখন তখন এসে বাসা তছনছ করে দিয়ে যেত।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখব যেন নব্য ফ্যাসিবাদ না সৃষ্টি হয়। এখনো যেখানে ফ্যাসিজম আছে সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়িত করব।

সূত্র: জাগো নিউজ

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.