টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান: খসরু
টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আমির খসরু বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে ক্যাপিটাল মার্কেট, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর এবং ডেটা কালেকশন প্রক্রিয়ায় পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা অপরিহার্য। ব্যাংকগুলোতে স্বল্পমেয়াদি আমানতের বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়ার যে মিসম্যাচ হয়েছে, তা অর্থনীতির জন্য ভয়ঙ্কর সংকেত। ক্যাপিটাল মার্কেটের বিকাশে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও দলীয়করণ যত কমানো যাবে, তত ভালো। অথচ বিএনপি আমলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পেশাদার লোক নিয়োগ দেয়ায় বড় কোনো দুর্নীতি বা স্ক্যামের ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে সেন্টার ফর পলিসি অ্যানালাইসিস অ্যান্ড রিফর্ম কর্তৃক আয়োজিত ‘তথ্য-চালিত অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ: ২০৩৫ রূপকল্প’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের বিশ্বে যার কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি ক্ষমতাবান। অথচ বাংলাদেশে তথ্য নির্ভর নীতি গ্রহণ ও প্রয়োগে এখনও স্পষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। ডেটা-নির্ভর, স্বচ্ছ ও দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে না পারলে দেশের উন্নয়ন শুধু কাগজে-কলমেই থাকবে, বাস্তবে নয়। এজন্য সবচেয়ে জরুরি হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পেশাদারিত্ব।
স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে দেশের বাস্তবতা আড়াল করা হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জনসংখ্যার সংখ্যা ইচ্ছাকৃতভাবে কম দেখিয়ে পার ক্যাপিটা আয় বাড়িয়ে দেখানোর যে চেষ্টা করেছে, তা শুধু ভ্রান্তিই নয়। বরং দেশের ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রতারণা। ফলে বিবিএস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা একটি দেশের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তিনি আরও বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং বিনিয়োগ খাত-সবখানে ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। ঘুষ ও দুর্নীতির উৎস বন্ধ করতে হলে জনগণের সরকারি অফিসে যাওয়া কমাতে হবে। অনলাইন সেবা চালুর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।