ভয়কে জয় করে সফল নাজমুল
টেস্টে বহুদিন পর একটি রঙিন দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয়দিনে প্রথমে বোলাররা জিম্বাবুয়ের লেজের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরে দায়িত্ব নিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। কোনো সুযোগ মিস করেনি ফিল্ডাররা। টেস্টে এমন আদর্শ একটি দিন সম্প্রতি দেখেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়দিন শেষে তিন উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। সাত উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৫ রান পিছিয়ে দল।
বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ২৫৩* রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত কাল পেয়ে গেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এতদিন টেস্টে যে ভয় নিয়ে খেলতেন সেটা এখন নেই। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এর আগে যখন খেলেছি একটা ভয় কাজ করত। খারাপ খেললে বাদ পড়ে যেতে পারি, এমন কিছু মনে হতো। এখন আমি ওরকম কিছু ভাবি না। দলে থাকব নাকি থাকব না, সেটা আমার ব্যাপার না। চেষ্টা করছি নিয়মিত ভালো খেলার।’
নতুন কোচিং স্টাফও অনেক বেশি সাহস দিচ্ছেন ক্রিকেটারদের। নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আরেকটা ইতিবাচক দিক হচ্ছে, আমাদের যে কোচিং স্টাফ এখন আছে, তারা অনেক বেশি আশ্বাস দিচ্ছেন। চাপ ও দলে থাকা নিয়ে ভাবতে বারণ করছেন। বারবার বলছেন, শুধু খেলায় ফোকাস করতে। দলে জায়গা নিয়ে ভারতে হবে না। এটা আমার জন্য দারুণ ইতিবাচক হিসেবে কাজ করেছে।’
জাতীয় দলের পাশাপাশি স্থানীয় দলের কোচ সোহেল ইসলামের কাছেও কৃতজ্ঞ নাজমুল, ‘দুই-তিন মাস ধরে সোহেল স্যারের (স্থানীয় কোচ) সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে। তিনি আমাকে অনেক সাহস দিয়েছেন। সেখান থেকে খেলা নিয়ে বেশি না ভেবে আমার স্কিলের ওপর বিশ্বাস রাখছি। এ কারণেই হয়তো রানে ফিরে আসছি।’ দীর্ঘসময় ধরে প্রস্তুত করা হচ্ছে নাজমুলকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুর ব্যর্থতার পর তাকে ‘এ’ দল, ইমার্জিং দল, হাই পারফরম্যান্স দলসহ নানা পর্যায়ে খেলানো হয়েছে নিয়মিত।