বরখাস্ত হওয়া সেই পুলিশের পক্ষে বিনা পয়সায় লড়বেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড ক্লাবের জুয়া থেকে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ৫ বছরে আয় ১৮০ কোটি টাকা’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়ে বরখাস্ত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদ সাইফুল আমিন।
ইতিমধ্যে সাইফুল আমিনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হুইপ নিজে বাদী হয়ে বুধবার ঢাকায় এ মামলা দায়ের করেন।
এবার বরখাস্ত হওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে বিনা পয়সায় আইনি লড়াই করার ঘোষণা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিনকে বরখাস্ত না করে হুইপের বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ এনেছেন কর্তৃপক্ষ তার ব্যাখ্যা চাইতে পারত। কিন্তু তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিষয়টিকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় সৎ পুলিশ অফিসাররা উৎসাহ হারাবেন। এ কারণে আমি তার পক্ষে উচ্চ আদালতে বিনা পয়সায় আইনি লড়াই করব।’
গত মঙ্গলবার হুইপের বিরুদ্ধে ১৮০ কোটি টাকা আয়ের অভিযোগ আনা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এআইজি (পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২) এর পক্ষে এআইজি (পিআইও-১) আনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ মইনুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, সাইফুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্তকালীন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন।
পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বুধবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেছিলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ডাহা ও আজগুবি মিথ্যা কথা লিখে জনমনে যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন আমি তার নিরসন চাই। মূলত এ কারণেই সত্য প্রতিষ্ঠা করতে আইন প্রণেতা হিসেবে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে সাইবার ট্র্যাইব্যুনালে মামলা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘মামলা গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।’