ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের হয়রানি, ১৪ দালাল আটক

0

রোগীদের হয়রানি ও জিম্মি করে প্রতারণার অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে নারীসহ ১৪ দালালকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত র‌্যাব-১৪ এর সাদা পোশাকের একটি দল হাসপাতালের ইমারজেন্সি, মহিলা ওয়ার্ড, পরীক্ষাগার, আউটডোরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে টানা ২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে প্রথমে ১৬ দালালকে আটক করে।

সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বিধি অনুযায়ী আটক ১৪ দালালের সর্বনিম্ন ১৫ দিন এবং সর্বোচ্চ ২ মাস মেয়াদে সাজা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম।

আটকরা হলো- মন্টু মিয়া, মাসুদ, আলাল উদ্দিন, আশরাফুল, বিজয়, আকাশ, ছোবহান মিয়া, সুমন মিয়া, শাহদাৎ হোসেন বাবু, শাকিব, আনিছ হোসেন রকি, সাদ্দাম হোসেন, মমিনুল ইসলাম রবিন এবং রোকসানা আক্তার।

এ সময় দালালদের সঙ্গে থাকা ১৪টি মোবাইল জব্দ করা হয়। তবে এমন অভিযান সবসময় দরকার বলে মনে করেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এর আাগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের দালাল-প্রতারক চক্রকে ধরতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জানানোর পর র্যাব হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম বলেন, দালাল-প্রতারক চক্রকে ধরতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জানানোর পর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের অসহায় সাধারণ মানুষ যখন হাসপাতালে সেবা নিতে আসে তখন সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে চক্রটি নানাভাবে রোগী এবং তাদের স্বজনদের হয়রানি করে আসছিল। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাব-১৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামসুজ্জামান বলেন, আটকরা হাসপাতালটি চারদিকে ব্লক করে রেখেছিল। গ্রামাঞ্চল থেকে হাসপাতালে রোগী এলে তাদের টার্গেট করা হতো। পরে বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রোগী ও তাদের স্বজনদের বেকায়দায় ফেলে টাকা হাতিয়ে নিত। মূলত চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির লক্ষ্যে আমাদের এ অভিযান কার্যক্রম।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, এক হাজার শয্যার বিপরীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গড়ে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার রোগী ভর্তি থাকে। যাদের বেশিরভাগ সেবা নিতে এসে বিভিন্ন সময় দালালদের খপ্পরে পড়ে। এ অভিযানের ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে। কারণ আমাদের পক্ষে বাহিরে কী হচ্ছে না হচ্ছে সবসময় লক্ষ্য রাখা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সেবা নিতে আসা মানুষজনকে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ হাসপাতালের বিকল্প বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল হতে পারে না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.