হাতকড়া পরানো নিয়ে পুলিশের ১৪ গোষ্ঠীকে দেখে নেওয়ার হুমকি শাজাহান খানের

0

হাতকড়া পরানো নিয়ে ১৪ গোষ্ঠীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে দাবি তোলা হয়। ট্রাইব্যুনালে পুলিশের দুই সদস্য এ নালিশ করেন।

এ সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান কথা বলেন। তখন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও আসামিপক্ষের ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি করেন।

শুনানিতে এক পুলিশ সদস্য জানান, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, হাতকড়া পরানোর জন্য গেলে আমাকে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তখন আরেক সাবেক মন্ত্রী আমার ১৪ গোষ্ঠীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম ও হাসানুল হক ইনুসহ অন্যান্যরা বলেন, মিথ্যা কথা।

আর নৌমন্ত্রী আদালতকে জানান, প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর আগেই দুই হাত পেছনে নিয়ে তাকে হাতকড়া পরাতে যান পুলিশ সদস্যরা। সেখানে তিনি হাতকড়া না পরানোর জন্য বলেন। কীভাবে নামবেন প্রশ্ন করেন পুলিশ সদস্যদের। পুলিশ সদস্যরা বলেন, আমরা ধরে নামাবো।

তবে, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নেওয়ার আগে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় তিনি মেজাজ হারিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে কয়েকবার মাথা থেকে হেলমেট ছুড়ে ফেলেন।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে ট্রাইব্যুনালের হাজতে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাইব্যুনালের হাজতে নেওয়ার সময় হঠাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শাজাহান খান। মাথায় থাকা হেলমেট খুলে মাটিতে ফেলে দেন তিনি। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে শান্ত করার পাশাপাশি হেলমেটটি পুনরায় তার মাথায় পরিয়ে দেন।

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে হাজির করা হয় রোববার। সকাল সোয়া ১০টার পর প্রিজন ভ্যানে করে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.