বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার একই সুত্রে গাথা — মওদুদ আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার একই সুত্রে গাথা হয়ে গেছে। বেগম জিয়ার স্বাস্থের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই সরকার একটি অমানবিক সরকার। অনেক ফ্যাসিস্ট সরকার আছে অনেক কর্তৃত্ববাদী সরকার আছে যারা এতটা অমানবিক নয়। অন্তত অনেক সরকার অনেক ক্ষেত্রে মানবতাবোধ দেখিয়েছে যা অতীতে আমরা দেখেছি। কিন্তু এই সরকার সম্পূর্ণ একটি মানবতাহীন সরকার।
তিনি বলেন, আমরা আবারো জামিনের জন্য আবেদন করেছি আমি আশাবাদী একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে জামিন দিবেন। আর যদি না দেন তাহলে আমাদের আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই এবং আমাদেরকে বাধ্য করা হবে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিতে।
সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত একুশে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র থাকলে বেগম জিয়া কারাগারে থাকতেন না। আজকে তিনি কারাগারে আছেন কারণ দেশে ন্যায়বিচার নাই, গণতন্ত্র নাই এবং দেশে এক দলীয় শাসন ব্যাবস্থা কায়েম হয়েছে। তা না হলে তার মুক্তি অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। এমন একটি ফালতু মামলায় বেগম জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে যে মামলায় তার শাস্তি হওয়ার কথা না। একটি ভিত্তিহীন মিথ্যা ও ভুয়া অভিযোগ এনে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তারপর তার জামিনের বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করায় তার জামিন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছিলো। পরবর্তীতে এটা স্বাধিকার আন্দোলনে পরিণত হয় আর স্বাধিকার আন্দোলন থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধ; যার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ৫২’র ভাষা শহীদরা যে রক্ত দিয়ে ছিলো, বাঙালী তার জবাব স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে দিয়েছিলো। আজকে দুঃখের সহিত বলতে হয়, যারা ক্ষমতায় আছেন তারা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য, চেতনা ও মূল্যবোধ ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।