বাবরি মসজিদ মামলায় অভিযুক্তকে করা হলো রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধান

 বুধবার ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রথম সভা। সভায় মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন থেকে নির্মাণের সমাপ্তির জন্য সময় নির্ধারণের মতো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও।

সভায় মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসকে রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সহ-সভাপতি চম্পত রায়কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্রকে মন্দির নির্মাণ কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়। পাশাপাশি মন্দিরের ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে গোবিন্দ গিরিকে।

রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি হওয়ার পরে নৃত্যগোপাল দাস বলেন, মানুষের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মন্দিরটি নির্মিত হবে।

এর আগে নৃত্যগোপাল দাসকে রাম মন্দির ট্রাস্টে না রাখায় অযোধ্যার সাধুরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আন্দোলন করার হুমকিও দেন।কারণ মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস শুরু থেকেই মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। মন্দিরের আন্দোলনটি তার নিজস্ব মঠ থেকেই পরিচালিত হয়েছিল। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন।

এদিকে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সদস্য বিশ্ব প্রসন্ন তীর্থ স্বামী বলেন, ‘‘মন্দির নির্মাণ কমিটির সভা আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় মন্দির নির্মাণের তারিখ নিয়ে আলোচনা হবে। আমি মনে করি না ২ এপ্রিল দিন হিসেবে উপযুক্ত হবে। কেননা সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ অযোধ্যায় থাকেন।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথম বার জিতে আসেন তখন থেকে তাঁর প্রধান সচিব ছিলেন উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের এই আইএএস অফিসার। কিন্তু গত বছর অগস্টে হঠাৎ নৃপেন্দ্র মিশ্র সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন।শোনা যায়, খোদ অমিত শাহের সুপারিশে তাকে ওই পদে বসিয়েছিলেন মোদী। এমনকী নৃপেন্দ্রকে ওই পদে বসাতে ২০১৪ সালে নিয়মও বদল করছিল কেন্দ্রীয় সরকার।