ময়মনসিংহের ভালুকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ৭ মাস পর মামলা হয়েছে। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ময়মনসিংহ-১১ ভালুকার সাবেক সংসদ সদস্য এম. এ ওয়াহেদ ও কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনুসহ ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ভালুকা মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন মো. শরীফ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল হুদা খান।
তিনি বলেন, রাতে শরীফ মিয়া মামলাটি দায়ের করলে আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নামে পুলিশ। এসময় আজিলুল নামের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। শনিবার তাকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে। মামলার অন্য যেসব আসামিরা দেশে আছে, তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হবে।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। ভালুকার জৈনাবাজার এলাকার নগর হাওলা গ্রামের কাশেমের বাসা বাড়িতে থেকে কাজ করতেন।
গত ৪ আগস্ট পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি মিছিল ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে। মিছিলে তোফাজ্জল হোসেনও ছিলেন। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কয়ার মাস্টারবাড়ী শুঁটকি ও কাঁচামাল মহলের সামনে পৌঁছা মাত্রই মিছিলে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এসময় তোফাজ্জল হোসেনকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। কিছুক্ষণ পর তোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহটি শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করে।