খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট কি সেই ‘সীমাবদ্ধতা’?
গণতন্ত্রের মা, অন্যায় কারাবন্দি, নিরপরাধ, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত বিএসএমএমইউ হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড’র রিপোর্টে একটি অংশে বলা হয়েছে —
“বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে, প্রথম দফায় প্রচলিত থেরাপির মাধ্যমে উপশম আসেনি। […] এখন পর্যন্ত রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা আগের মতোই নিম্নমানের। তার উন্নত থেরাপি প্রয়োজন। উন্নত থেরাপির সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবসহ এর [চিকিৎসার] সম্ভাবনা, ব্যয় ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে তাকে পর্যাপ্তভাবে অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী মেডিক্যাল বোর্ড তাকে উন্নত বায়োলোজিক্স থেরাপি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞাত থেকেই মেডিক্যাল বোর্ড থেরাপি শুরু করতে প্রস্তুত আছে।”
এই “বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা”-র বিষয়টির কোন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি মেডিক্যাল বোর্ড।
জনমনে প্রশ্ন, বেগম খালেদা জিয়াকে বায়োলজিক্স থেরাপি দেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই থেরাপির কি সীমাবদ্ধতা বা ঝুঁকি রয়েছে? মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে কেন সেই সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়নি?
বিশিষ্ট চিকিৎসক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’র ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এক ব্লগপোস্টে [ লিঙ্ক — https://bit.ly/2SXKqGD ] এই মেডিকেল রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন। সেই লেখায় তিনি জানান,
বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো, মেথোট্রেক্সটে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের পর্যাপ্ত উন্নতি না হওয়ায় অপর একটি ইউমিউনো নিরোধক তসিলিজুমাব (Tocilijumab) ইনজেকশন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ইনজেকশন নেয়ার আগে রক্তের পূর্ণ পরীক্ষা, লিভার ও কিডনির কার্যকারিতাও নির্ণয় করে নেয়া বাঞ্ছনীয়।
জনমনে প্রশ্ন হচ্ছে, যে ইনজেকশন দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি গ্রহণ করলে কিডনি, লিভার ও রক্তে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল প্রতিক্রিয়ার যদি সম্ভাবনা থাকে, সেটি কেন বেগম খালেদা জিয়া গ্রহণ করবেন?
দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইন বিষয়ক বিশ্লেষক মিজানুর রহমান খান ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, প্রথম আলোয় প্রকাশিত [লিঙ্ক — https://bit.ly/3bQ9E2p] লেখায় অভিমত দিয়েছেন,
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ‘অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট’ তাঁর মৌলিক অধিকার। এটা রাষ্ট্রের অনুকম্পার বিষয় নয়।
বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাঁর যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হউক। জনগণ সেটিই চায়।