প্যারোল নিয়ে ফোনে কোনো কথা হয়নি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ফোনে আলোচনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সেটা তাকেই (ওবায়দুল কাদের) জিজ্ঞেস করেন। কারণ আমরা তো প্যারোল নিয়ে কোনো কথা বলিনি আমাদের দল থেকে আজ পর্যন্ত। বলেছি কি? বলিনি তো। এটা নিয়ে এখন কথা বলাটা কতটুকু সঠিক হয়েছে উনি বিবেচনা করবেন।’
ওবায়দুল কাদের গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আর্জি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে মির্জা ফখরুল তাকে টেলিফোন করেছিলেন।
তাঁতী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মির্জা ফখরুল। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনিভাবে না হলে প্যারোলের আবেদন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে তার পরিবারের ব্যাপার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার শরীরের যে অবস্থা তাতে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য আমরা বলেছি যে, এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে কারাগারের মধ্যে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত তাদের স্বার্থেই।’
বিএনপি মহাসচিব এ সময় অভিযোগ করে বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সরকার জামিন দিচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি দুই বছর ধরে খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র উদ্ধারে এগিয়ে আসবে।’
তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।