জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবাদকারী ব্রিটিশ এমপি দিল্লিতে আটক
ব্রিটিশ লেবার এমপি ডেবি অ্যাব্রাহামস জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করে পরে দুবাইয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, দিল্লি পৌঁছানোর পরেও ডেবিকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়, তার ই-ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছে।
ব্রিটেনে কাশ্মীর সংক্রান্ত অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারপারসন ডেবি। দিল্লির অভিজ্ঞতার পরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘অপরাধীর মতো আচরণ’ করা হয়েছে তার সঙ্গে।
এ দিকে ভারতের সরকারি সূত্রে শুধু বলা হয়েছে, এ দেশে প্রবেশের উপযুক্ত ভিসা ছিল না ডেবির কাছে।
ব্রিটিশ এমপির অভিযোগ, সোমবার সকাল ৮টা ৫০ নাগাদ দিল্লিতে অবতরণের পরে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলেন, গত বছর অক্টোবরে পাওয়া তার ই-ভিসা (যা ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ) বাতিল হয়ে গেছে।
ডেবি বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘‘বাকি যাত্রীদের সঙ্গে আমি অভিবাসন কর্মকর্তাদের সামনে আমার ছবি, ই-ভিসা ও অন্য সব তথ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারা আমার ছবিও তুলেছিলেন। তারপর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্ক্রিনে আমার ছবি দেখে হঠাৎ মাথা ঝাঁকালেন। তারপর বললেন, ভিসা বাতিল হয়ে গেছে। এই বলে উনি দশ মিনিটের জন্য উধাও হয়ে যান। ফিরে আসার পরে আরও উদ্ধত এবং আক্রমণাত্মক হয়ে আমার সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলতে শুরু করেন। আমাকে বলা হয়, তার সঙ্গে যেতে।’’
ডেবি ওই সময় বলেন, এমন আচরণ করছেন কেন? কিন্তু কথা না-শুনে ঘিরে রাখা আলাদা একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় এমপিকে। ওখানে বসতে বলায় তিনি আপত্তি জানান। বিষয়টি ভারতে বসবাসকারী এক আত্মীয়কেও জানান। ওই আত্মীয়ের মাধ্যমেই বার্তা যায় স্থানীয় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে। তারপরেও কিছু করা যায়নি বলে দাবি ডেবির।
ডেবির বক্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে এসেছি সামাজিক ন্যায় ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে। অন্যায় এবং নিগ্রহ চললে আমি নিজের সরকার-সহ সব জায়গায় চ্যালেঞ্জ জানাতেই থাকব।’’
ডেবির টুইটার পেজে গত বছর ৫ আগস্টে লেখা একটি চিঠি রয়েছে। ওই দিনই ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ডেবি কাশ্মীর সংক্রান্ত গোষ্ঠীর চেয়ারপারসন হিসেবে ব্রিটেনে ভারতীয় দূতের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন।