২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না: সিপিডি
রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয় বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে ক্ষমতার পালাবদল হলেও চলমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে উন্নতির লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫: সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এই কথা বলেন।
সিপিডির ফ্ল্যাগশিপ অনুষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনার (আইআরবিডি) আওতায় এই মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সিপিডি বলছে, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী মহলকে মোকাবিলা করে সংস্কার সম্ভব নয়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও সুশাসন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গীকারের মাধ্যমে সংস্কার টেকসই করতে হবে।
চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর বহুমাত্রিকতা বিবেচনা করে একটি ত্রিমুখী পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে। জুলাই আন্দোলনের মূল কারণ ছিল কর্মসংস্থানের অভাব, যা বিগত সরকারের বৈষম্যমূলক নীতির কারণে হয়েছিল।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৫ অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ যা একই সময়ে আগের অর্থবছরে ছিল ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগে মন্দাকাল চলছে। আবার চলমান অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগের আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে না। আবার সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে যা অর্থনীতিতে সার্বিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সামনের মাসগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং কার্যকরী কৌশল গ্রহণ করতে হবে যা একই সঙ্গে তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলা করবে এবং পরবর্তী রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়নের জন্য মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সূচনা করবে।