তবুও ৭২ ঘণ্টার শঙ্কায় ফিলিস্তিনিরা
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইল। কাতারের মধ্যস্থতায় এ চুক্তিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। চুক্তিটি কার্যকর হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজাবাসীর প্রাণে স্বস্তি ফিরে এলেও পুরোপুরি নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না তারা। তাদের শঙ্কা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টায় গাজায় হামলা জোরদার করতে পারে ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর মিশ্র অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন গাজাবাসীরা। একদিকে যুদ্ধবিরতির স্বস্তি, অন্যদিকে হামলা জোরদারের শঙ্কা। তার ওপরে তো স্বজন হারানো শোক রয়েছেই।
গাজার বাসিন্দাদের শঙ্কা, চুক্তিটি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে- এর অর্থ হলো এখনও ৭২ ঘণ্টা সময় আছে আর এ সময়ে ইসরাইলি বিমান হামলা আরও জোরদার হবে।
ফিলিস্তিনিরা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরেও তারা আকাশে ইসরাইলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দেখেছে; যা মাটিতে থাকা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
বেসামরিক বাসিন্দার এখনও উপত্যকাটিকে হামলার মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে ভীত হয়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজাজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে এই মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি। তিনি বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেন, এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ হচ্ছে ৪২ দিন। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিবে যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে বন্দি আছে। এর বিনিময়ে ইসরাইলও বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
আল-থানি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়টি বাস্তবায়িত হওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের বিস্তারিত বিষয়টি সম্পর্কে সম্মতি পাওয়া যাবে।