বসন্তে ত্বকের যত্ন
এসে গেছে বসন্ত। প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বসন্তে ত্বকেও দেখা যায় পরিবর্তন। তাই সচেতনতা তো বটেই, ত্বকেরও চাই বাড়তি যত্ন। শীতের আর্দ্রতা বসন্তে এসে একটু বৃদ্ধি পেলেও গ্রীষ্ম-বর্ষার মতো পুরোপুরিভাবে অতটা বৃদ্ধি পায় না। তাপমাত্রা আবার হুট করে কিছুটা বেড়ে যায় এ সময়। সামগ্রিকভাবে শীতের সময় ত্বকে যে প্রভাব দেখা যায়, বসন্তে এসে তার অনেকাংশেই থেকে যায়। বসন্তেও তাই ত্বকের শুষ্ক ভাব থাকে।
একে বলা হয় জেরোসিস। বৃদ্ধি পায় সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বা খুশকির প্রাদুর্ভাব। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি প্রবণতা ঘটতে পারে। অনেক সময় ত্বকে স্কেলিং বা মরা চামড়া দৃশ্যমানভাবে ঝরে পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে জেরোটিক একজিমা। ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ ও চুল পড়ার প্রবণতাও প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় বছরের এ সময়টাতে। ব্রণের সমস্যা কিছুটা কম থাকলেও র্যাশ, চিকেন পক্সের সংক্রমণ বাড়তে পারে।
সতর্কতা
আবহাওয়ার কিছুটা বদল হলেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে ভালো থাকবে ত্বক। শিশুসহ সব বয়সীর ক্ষেত্রে ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেওয়া উচিত।
অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, গ্লিসারিন, লিকুইড প্যারাফিন, ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
বসন্তে শুষ্কতার পাশাপাশি বাতাসে প্রচুর ধুলাবালিও উড়ে বেড়ায়। তাই খুশকির প্রবণতাও অনেক বৃদ্ধি পায়। এজন্য বিভিন্ন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ২ শতাংশ কিটোকোনাজল অথবা কিটোকোনাজল ও জিংক পাইরিথিওনের মিশ্রণের মেডিকেটেড শ্যাম্পু। প্রথমে সপ্তাহে দুবার করে, পরে সপ্তাহে একবার এসব শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়।
ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাকবিরোধী ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়মমতো প্রতিদিন ওষুধ সেবনে এ ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ সময় বাড়তি যত্ন হিসেবে
বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে প্রচুর পানি অথবা ক্লিনজিং লোশন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
ত্বককে যতটা সম্ভব ধুলাবালি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
বাইরে গেলে সরাসরি যেন ত্বকে রোদ না লাগে, সেজন্য ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুখে, ঘাড়ে, হাতে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
নিয়মিত গোসল ও ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে।
সচেতন থাকলে এবং নিয়মিত যত্ন নিলেই ত্বকের সজীবতা বজায় থাকবে। নিয়ম মেনে চললেই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সহজেই আপনার ত্বক খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।