আমি অভিনয়ে ইন্টারেস্টেড না
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। ভালোবাসা দিবসে তার তিনটি নতুন গান প্রকাশ পেয়েছে। নিয়মিত গাইছেন নতুন সিনেমার গান। স্টেজ শো, সিঙ্গেল ও মিউজিক ভিডিওর ব্যস্ততাও রয়েছে। এসব নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আল মাসিদ
ভালোবাসা দিবসে ৩ গান…
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমার তিনটি নতুন গান প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি গান সিনেমার, একটি মিউজিক ভিডিও। গান তিনটি হলো শাকিব খান ও বুবলী অভিনীত প্রেক্ষাগৃহে চলতি ‘বীর’ সিনেমার ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’, নীরব ও প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনীত ‘হৃদয় জুড়ে’ সিনেমার টাইটেল গান ও ‘তুমি শুধু আমার’ শিরোনামের একটি গানের ভিডিও। এর মধ্যে ‘তুমি শুধু আমার’ গানটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ মিনিট। ভিডিওতে ছোট পর্দার অভিনেতা তৌসিফ ও উপস্থাপক নীল মডেল হয়েছেন। গানটির সংগীতশিল্পী পূজা ও আমি মডেল হয়েছি। আমরা কেউ গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাইনি। একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছি গানটি দিয়ে।
কোন গানটি দর্শক বেশি পছন্দ করছে?
তিনটি তিন ধরনের গান। সিনেমার গান দুটি পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার। প্রত্যেকটি গানের আলাদা দর্শক আছে। তবে ‘বীর’ সিনেমার গানটির জন্য বেশি সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, দিন শেষে সব কটি গানই দর্শকের মনে জায়গা করে নেবে।
‘বীর’ সিনেমার ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’ একটি পরিচিত গান। নতুন করে গাইতে কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব করেন?
এটা আসলে রিমেক নয়। জনপ্রিয় গানের শুধু দুটি লাইন নেওয়া হয়েছে। এই চর্চা সারা বিশে^ হচ্ছে। তবে আমি সিনেমায় ‘অনেক সাধনার পরে’ গানটির রিমেকেও গেয়েছি। সে ক্ষেত্রে যদি নিজেকে গাওয়ার পাশাপাশি সংগীতায়োজনও করতে হয়, তখন সত্যিই বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়ে। আর শুধু গাইতে গেলে অতটা চাপ অনুভব করি না। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী গানের ডেলিভারি দিই।
নতুন কোন কোন সিনেমায় আপনার গান আসছে?
প্লেব্যাক নিয়েই তো ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ‘সিক্রেট এজেন্ট’, ‘সাইকো’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘ওস্তাদ’, ‘আকবর’, ‘ক্যাসিনো’, ‘লন্ডন লাভ’সহ অনেকগুলো সিনেমায় গান করলাম। সিনেমাগুলো এ বছর মুক্তি পাবে বলে শুনেছি।
নাটক কিংবা সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা আছে?
অনেকেই অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি অভিনয়ে ইন্টারেস্টেড না। আমি যদি এখন অভিনয় করতে যাই, তাহলে প্রকৃত অভিনয়শিল্পীদের খাটো করা হবে। কারণ, আমি অভিনয় জানি না। কখনো শিখিনি। আমি যেমন গান শিখে এসেছি, এখনো শিখছি, এরপর গান করতে এসেছি। তেমন অভিনয় না শিখে করা ঠিক নয়।
শোনা যায়, এখন মিউজিক ভিডিওর বাজেট অনেক কমে গেছে…
এটা আসলে প্রত্যেক শিল্পীর জন্য আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা। আমার ক্ষেত্রে এখনো এমন হয়নি। তা ছাড়া শুধু বাজেটের জন্য একটি ভিডিওর মান নির্ধারণ হয় না। আমার ১৫ লাখ টাকার মিউজিক ভিডিও যেমন রয়েছে, তেমনি তিন লাখ টাকারও রয়েছে। কিন্তু দুটি ভিডিওর কোনোটিরই মান খারাপ নয়। এটি নির্ভর করে আমরা গানটিকে কীভাবে দেখাব। যদি কেউ বিদেশের লোকেশন দেখাতে চায়, তাহলে বাজেট বাড়বে। কিন্তু তাতেই যে মান ভালো হবে তার কোনো মানে নেই।