হামাসের হাতে জিম্মি মার্কিন স্বজনদের সঙ্গে দেখা করলেন বাইডেন
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের হাতে আটক বন্দি মুক্তির জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গাজায় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের ৪০০ দিন এরইমধ্যে পেরিয়ে গেছে। এই লম্বা সময়ে আটক জিম্মিদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভুগছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
হামাসের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি চান স্বজনরা। এ নিয়ে মার্কিন প্রশাসন এবং ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়ছে।
বুধবার বাইডেন হামাসের হাতে জিম্মি মার্কিন স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রশাসন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং প্রেসিডেন্ট পরিবারগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন যে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের মতে, প্রায় সাত আমেরিকান গাজায় বন্দি রয়েছেন।
৭ অক্টোবরের হামলার সময় হামাস যোদ্ধারা ২০০ জনেরও বেশি লোককে অপহরণ করেছিল। তার মধ্যে ১ বছর আগে ১০৫ জন নারী, শিশু ও বিদেশি নাগরিককে হামাসের সঙ্গে সাময়িক এক সমঝোতায় ছাড়িয়ে আনা হয়। চার জন যুদ্ধের শুরুতেই মুক্ত হয়েছিলেন। আর আট জনকে সামরিক বাহিনী উদ্ধার করে।
এখন পর্যন্ত ৩৭ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে গাজায় এখনও ১০১ জন বন্দি অবস্থায় রয়েছেন বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের দাবি।
ইসরাইলে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভাবা হচ্ছিল হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। সিনওয়ারকে গত মাসে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। মনে করা হচ্ছিল, দ্রুত গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি পৌঁছাবে হামাস ও ইসরাইল। কিন্তু তা এখনো সম্ভব হয়নি।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও তেল আবিবের বাসিন্দা আনাত রন কান্ডেল বলেছেন, ‘আমি মানসিকভাবে কিছুটা অসাড় বোধ করছি। জিম্মিদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে আশা-ভরসা ধরে রাখা কঠিন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘গত বছর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী (ইয়াহিয়া সিনওয়ার) এখন মৃত। আমি নিশ্চিত নই যে এই অবস্থায় আমাদের জিম্মিরা কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের কতজন নিরাপদে ফিরে আসবে, কতজন বেঁচেই বা আছে? আমি অনেক, অনেক বেশি চিন্তিত।’