ইসরাইলকে আর সংযত রাখা যাবে না, ইরানকে সতর্কবার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানকে ইসরাইলের ওপর আরেকটি হামলা চালানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, তেহরান যদি আবার আক্রমণ করে সেক্ষেত্রে তারা ইসরাইলকে আর সংযত করতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা এবং সাবেক ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার এ খবর দিয়েছে অ্যাক্সিওস নিউজ।
মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আমরা ইরানিদের বলেছি, আমরা ইসরাইলকে আটকে রাখতে সক্ষম হব না এবং আমরা নিশ্চিত করতে পারব না যে পরবর্তী আক্রমণটি আগেরটির মতো সীমাবদ্ধ লক্ষ্যবস্তু করা হবে
প্রতিবেদনে কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বার্তাটি সরাসরি ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যদিও ইসরাইলি সূত্র বলেছে, বার্তাটি সুইজারল্যান্ডের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেহরানে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন বা তেহরানের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরান ও তার মিত্রদের ওপর হামলার বিষয়ে ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুমকি দেন।
৩০ অক্টোবর টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার ভূখণ্ডে ইসরাইলের সাম্প্রতিক আক্রমণের একটি ‘সুনির্দিষ্ট এবং শোচনীয়’ প্রতিক্রিয়া দেবে। সম্ভবত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই হামলা হতে পারে।
এদিকে চ্যানেল টুয়েলভ নিউজ জানিয়েছে, ইসরাইলের নিরাপত্তা সংস্থা অনুমান করছে ইরান আরেকটি ইসরাইলি হামলার ঝুঁকি কমাতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে ইরাক এবং ইয়েমেনে তার শিয়া মিলিশিয়াদের মাধ্যমে হামলা চালাতে পারে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরাইলের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যে কোনো হামলার উৎপত্তিস্থল নির্বিশেষে কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ অক্টোবর ইরানের তিনটি প্রদেশের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির স্থাপনায় তিন দফায় হামলা চালায় ইসরাইল। হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ফের ইসরাইলে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ইরান বলেছে, ইসরাইলের ওই হামলায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এর আগে ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যুত্তরে ইসরাইলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরাইল।