আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সংস্কার শেষ করে ভোট হোক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রাখলে আমাদের লাভ হবে না। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সংস্কার শেষ করে ভোট হোক।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাখা এবং না রাখা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে এই বিতর্ক আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে? সরকারেরই যারা অংশ, ছাত্ররা চাইলে তাকে চলে যেতে হবে। এখন বলছেন, সব দল মিলে বলেন কী করতে হবে। সব দলই কিন্তু কথা বলতে আসছে না; আসছেন ছাত্ররা। আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসছেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আমরা সব দল মিলে এই রাষ্ট্রপতিকে যে চাই না, এটা কার কাছে জিজ্ঞেস করবো। সরকারের কাছে বলবো? এ ধরনের বিতর্ক জিইয়ে রাখলে আমাদের লাভ হবে না। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার শেষ করে ভোট হোক।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কার হচ্ছে, সেটুকু, যেটা আপনাকে এই মুহূর্তে ভোটের জন্য একটা সত্যিকারের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ দেবে। এর বাইরে যেতে চেষ্টা করলে আপনি পারবেন না। কারণ সংস্কার সবসময় করতে পারবেন। সংস্কার কোথাও থেমে থাকে না। এ জন্য আমরা বলছি, সরকার যত তাড়াতাড়ি এই কাজটা করবে, যাতে মানুষ তার পছন্দের লোককে ভোট দিতে পারেন।’
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে মান্না বলেন, ‘আমাদের সংবিধান পরিবর্তন করার কথা হচ্ছে। কেমন সংবিধান হবে? কেউ বলছেন ৭২’র যে সংবিধান সেটাকে ফেলে দিতে হবে। নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। কিন্তু নতুন করে যখন সংবিধান লিখবেন তখন একেকজন একেক রকম বলবে। আবার কেউ বলবে সংখ্যানুপাতিক ভোট দেন, কিন্তু সংখ্যানুপাতিক ভোট দিলে আওয়ামী লীগ অপজিশন পার্টিতে চলে আসবে। সেটা চলবে? দেবেন সে রকম? এই কারণেই আবেগের ওপর কথা বলছি না। আমরা সে রকম জায়গায় যেতে চাই, যেখানে দেশের সব জনগোষ্ঠীর কল্যাণ হয়।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘এ সরকারের বেকারত্ব দূর করার কোনও এজেন্ডা নাই। সংস্কারের জন্য যে ১০টি কর্মসূচি রয়েছে সেখানে বেকারত্ব দূর করার কোনও কমিশন গঠন করা হয়নি। এ দেশে শিক্ষিত-অশিক্ষিত মিলিয়ে মোট চার কোটি লোক বেকার। আমাদের দেশে বিনিয়োগকারী নাই। চাকরি চাইলে সরকার চাকরি দেবে কী করে? এ সরকার বেকারত্ব দূর করার কথা বলেননি এবং সামনের দিকে বলবেও না।’
মান্না বলেন, ‘আমরা যে সংস্কারের কথা বলেছি, সরকার যে সংস্কার করছে, সেখানে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং মানুষ মন খুলে কথা বলবে সেটার কথা বলা হয়নি। রাতের বেলায় যদি কোনও মেয়ে নির্দ্বিধায় বাসায় যেতে না পারে তাহলে সে দেশের উন্নয়ন হবে কী করে?’