খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের জন্য সরকারই দায়ী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে তিলে তিলে শেষ করে দিতে চাচ্ছে। এ কারণে তার জামিনে বাধা দিচ্ছে এবং তার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে হত্যা করার জন্য কারাগারে জোর করে আটকে রেখেছে। আমরা তাকে বাঁচাতে চাই। তার মুক্তির জন্য সাংবিধানিকভাবে যতরকমের চেষ্টা করার আমরা সবই করছি। আইনগতভাবেও যতরকম পথ আছে সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এটি আইনের মধ্যে নেই। সে জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার মুক্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না দেয়ার পুরো ইচ্ছেটাই সরকারের হাতে। অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের জন্য সরকারই দায়ী। এ ধরনের মামলায় সাত দিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা। সাধারণ নাগরিকও সাত দিনে জামিন পায়। কিন্তু উনাকে দু’বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, উনার পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলের জন্য আবেদন করা হয়েছে কিনা সেটি আমার জানা নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বেলা ২টায় নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।
শনিবারের বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুমতির প্রয়োজন নেই। আমরা বারবার বলেছি– এটি অনুমতির বিষয় নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেসারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।