গাজায় হামলা বন্ধ না হলে হিজবুল্লাহ থামবে না, যুদ্ধবিরতি অস্বীকার
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য সমর্থনের জানানো থেকে সরে এসেছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সশস্ত্রগোষ্ঠীটি এবার বলছে, গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের বিপক্ষে লড়াই করে যাবে তারা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মঙ্গলবার প্রাথমিকভাবে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বলেছিলেন, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চান তারা।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাইম কাসেম বলেন, ‘লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি যুদ্ধবিরতির জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের (হিজবুল্লাহর) সমর্থন রয়েছে।’
তবে এরপরই হিজবুল্লাহ স্পষ্ট করে যে, ইসরাইল গাজায় আক্রমণ বন্ধ না করলে হিজবুল্লাহও লেবানন থেকে হামলা বন্ধ করবে না।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছরের সীমান্ত সংঘর্ষের পর ইসরাইলি আক্রমণ বেড়েই চলছে লেবাননে। গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রক্সিবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন। গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়ে হামাসের সমর্থনে লড়াই করছে
লেবাননে যুদ্ধবিরতির জন্য হিজবুল্লাহ রাজি এমন কিছু প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়ে গতকাল। তবে এটি প্রত্যাখান করেছে গোষ্ঠীটি। হামাস এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের চলমান সমর্থন নিশ্চিত করে নতুন বিবৃতিতে বলছে, গাজার বৃহত্তর সংঘাতের সমাধান না করে একতরফা যুদ্ধবিরতির ধারণা হিজবুল্লাহ সমর্থন করে না।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ভারি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর ছয় সেক্টর কমান্ডার এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৫০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা।
একইদিন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহর সক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়েছি। আমরা তাদের হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি। যার মধ্যে (হাসান) নাসরুল্লাহ নিজেও রয়েছেন। নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি এবং তার উত্তরসূরির উত্তরসূরিও নিহত হয়েছেন।’
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ হিজবুল্লাহ বহু, বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে’।
তবে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, ইসরাইলের তীব্র বিমান হামলা এবং স্থল আক্রমণ সত্ত্বেও, তাদের সামরিক সক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। একইসঙ্গে ইসরাইলের উপর লড়াই অব্যাহত রাখার বিষয়ে পুনর্ব্যক্ত করে।