ইরানে হামলায় সহযোগিতা করলে আরব দেশগুলোকে দেখে নেওয়ার হুমকি তেহরানের
ইরানের ওপর কোনও হামলায় আরব উপসাগরীয় দেশগুলো (গালফ আরব স্টেটস) তাদের ঘাঁটি বা আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিলে তা হবে সম্পূর্ণ ‘অগ্রহণযোগ্য’। এমন পদক্ষেপের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে তেহরান। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে কোনও আগ্রাসনে উপসাগরীয় কোনও দেশের সম্পৃক্ততা থাকলে তাদেরকেও আমরা আগ্রাসী হিসেবেই দেখব। এমনকি তাদের সামরিক ঘাঁটি বা আকাশসীমা ব্যবহার করেও যদি ইরানে হামলা করা হয়, তবে আমরা সবাইকে দায়ী ধরে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। ইরান তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।’
বাহরাইন, কুয়েত, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পারস্য উপসাগরীয় দেশ বলা হয়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এর প্রতিক্রিয়ায় তেল আবিবের দিক থেকে পালটা হামলার ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যেই এমন হুঁশিয়ারি দিলো তেহরান।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘এই বার্তার মধ্য দিয়ে আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ঐক্য ও স্থিতিশীল নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইরানে হামলা করতে ইসরায়েলকে কোনও প্রকার সহায়তা করা, যেমন সংশ্লিষ্ট দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
গত সপ্তাহে কাতারে অনুষ্ঠিত এক এশীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ইরান ও উপসাগরীয় দেশের প্রতিনিধিগণ। মূল আলোচ্যসূচির বাইরে এক বৈঠকে উপসাগরীয় নেতারা ইরানের প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, তেহরান ও তেল আবিবের সংঘর্ষে তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন।
উপসাগরীয় এলাকায় কর্মরত এক পশ্চিমা কূটনীতিবিদ বলেছেন, ইরান কেবল আঞ্চলিক ঐক্য ও নিরাপত্তার বার্তা দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। তারা প্রচ্ছন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রত্যেকের কার্যকলাপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তেহরান। ইসরায়েল হামলা করলে তাদের প্রতিক্রিয়া কী হয় ও তাদের দেশে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটি কীভাবে ব্যবহৃত হয়- কোনও কিছুই ইরানের নজর এড়াবে না।