কখন দিন আর কখন রাত হয়, তা-ই বুঝি না
র্যাম্প মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। গেল বছর দেশের প্রায় সব বড় ফ্যাশন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ বছরও বড় মাপের শো নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। এসব নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
আন্তর্জাতিক বিউটি কনটেস্টে…
গতকালই নতুন একটি বিউটি কনটেস্টে কাজের কথা হয়েছে। তাদের ভাবনার কথা শুনে মনে হলো এটি বড় আয়োজনে হবে। কনটেস্টটি হবে আন্তর্জাতিকভাবে। আমাদের দেশে যেমন একটি কনটেস্টের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত হবে, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও একজন করে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। এসব বিজয়ীকে নিয়ে দেশের বাইরে একটি গ্র্যান্ড ফিনালে হবে। বাংলাদেশে যে কনটেস্টটি হবে আমি সেই প্রতিযোগীদেও গ্রুমিং করব। পুরো আয়োজনের ফ্যাশন কোরিওগ্রাফিও আমাকে করতে হবে। তবে কারা এই আয়োজন করছে বা এর নাম কী তা এখনই বলতে চাইছি না। এসব নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
গত বছরের উল্লেখযোগ্য কাজ…
গত বছর আমাদের দেশে ফ্যাশনবিষয়ক যতগুলো বড় কাজ হয়েছে তার বেশিরভাগের সঙ্গেই আমি জড়িত ছিলাম। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য মিস উইনিভার্স বাংলাদেশ, কে হবে মাসুদ রানা, আরটিভি ভাটিকা ক্যাম্পাস স্টার, ফেইস অব বাংলাদেশ, মি. অ্যান্ড মিসেস ফটোজেনিক, পারফেক্ট ম্যান অ্যান্ড উইমেন ও ট্রেসেমে ফ্যাশন উইক। এছাড়া গত মাসে দেশের জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে আয়োজিত একটি ফ্যাশন শোর কোরিওগ্রাফিও আমি করেছি।
এত বিউটি কনটেস্টের ফলাফল কী?
অনেকেই বলে এত এত বিউটি কনটেস্ট হচ্ছে, কিন্তু তা থেকে বেরিয়ে আসা ছেলেমেয়েগুলো সেভাবে সফল হচ্ছে না। কিন্তু আমি এ বিষয়টির সঙ্গে একমত নই। যারা বিউটি কনটেস্ট আয়োজন করেন বা যারা প্রতিযোগী সবাইকে আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ এটি একটি বড় কাজ। এ থেকে অনেকেই উঠে আসতে পারেন। তবে শোবিজে নানাভাবে আসা যায়। তার একটি মাধ্যম হচ্ছে বিউটি কনটেস্ট। ফলে যারা ভালো কাজ করছে তাদের সবাইকে বিউটি কনটেস্টের মাধ্যমে আসতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে যারা বিউটি কনটেস্ট থেকে আসে তাদের জন্য পথচলা সহজ হয়। আমরা তাদের শুরুতেই একটু হলেও তৈরি করে দিয়ে থাকি। এরপর প্ল্যাটফর্মটিকে সে কীভাবে ব্যবহার করবে তা তার নিজের দায়িত্ব। এজন্য কাজটির প্রতি ভালোবাসা, পরিশ্রম ও ধৈর্য ধারণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বসন্ত বাতাসে ভ্যালেন্টাইন…
বসন্ত আমার খুবই প্রিয় ঋতু। কারণ এ সময় না শীত, না গরম আবহাওয়া খুব পছন্দ করি। তবে আমার ভ্যালেন্টাইন যে বলে কিছু নেই। কারণ আমি প্রেম করি না। আমার ভালোবাসা দিবস কাটবে পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। কাজকেই সবচেয়ে ভালোবাসি। কাজে এতটাই ডুবে থাকি যে কখন দিন আর কখন রাত হয়, তাই বুঝি না মাঝেমধ্যে। এজন্য প্রেম-ভালোবাসা-বিয়ে এসব নিয়ে আমি ভাবছিই না। পরিবার থেকেও আমাকে বিয়ের জন্য এখন আর চাপ দেয় না। তারা বুঝে গেছে, ভালো থাকাটাই আসল। সেটা একা থেকেও সম্ভব।