গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে তিনজন হয়েছে। নিহতরা সবাই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা।
তারা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিটন ও সবুজ। এরমধ্যে দিদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার ছিলেন। তার বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ী।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। হামলার পর বর্তমানে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা সদরের ঘোনাপাড়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির বহরে থাকা ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী তার নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। তার আগমন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ঘোনাপাড়ায় গাড়িবহর পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। ছবি তুলতে গেলে এক সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে অন্য দুজনের মৃত্যু হয়।
হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ আরও ৩০ জন আহত হন।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম।
ওসি বলেন, ঘোনাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানীর পথসভার কথা ছিল। এসময় কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে বেদগ্রাম থেকে ঘোনাপাড়া যাওয়ার সময় জিলানীর গাড়িবহরে হামলা চালান তারা।