কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি জাফর আলম ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক এমপি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন আলী হায়দার। এতে ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, মো. আমিন, মো. মামুন, বাবুল, জমির উদ্দিন, জিয়াবুল হক, নুরুল আমিন কমিশনার, নাজেম উদ্দিন প্রকাশ নাজু, মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা নাগু সওদাগর, জমির উদ্দিন, রেজাউল মেম্বর, নাজেম উদ্দিন সওদাগর, কাউছার উদ্দিন কছির, সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চরণদ্বীপে ২০০ একর চিংড়িঘেরের জমি ২০০৫ সালে ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে চিংড়ি চাষ করে আসছিলেন তিনি। চার বছর পর আসামিরা তার চিংড়িঘের থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ঘের দখলসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে আসামিরা ফাঁকা গুলি করতে করতে চিংড়িঘের দখল করে নেন। এসময় ঘেরে থাকা ১৫ লাখ টাকা দামের দুটি ইঞ্জিনচালিত বোট, ৫টি নৌকা, ৫ লাখ টাকার ১০০টি ছাগল, ১০ লাখ টাকার ২০টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া চিংড়িঘেরে থাকা ৫টি টঙ ঘর, ১০টি জালসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
বাদীর আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমদ বলেন, নালিশি আবেদনটি আমলে নিয়েছেন উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বুধবার শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।